উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ট্যাব বা স্মার্টফোন (মোবাইল) কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ঠিক করে দেওয়া নাম ‘তরুণের স্বপ্ন’ (Taruner Swapna) প্রকল্পের অধীনে উচ্চশিক্ষার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সেই ১০ হাজার টাকাই এবার ফেরত দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। তবে সবাইকে এই টাকা ফেরত দিতে হবে না। ঠিক কাদের কাদের এই ১০ হাজার টাকা সরকারকে ফেরত দিতে হবে তা বিস্তারিত জানাতেই আজকের এই প্রতিবেদন। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশ পাওয়ার পর এই নিয়ে প্রতিটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা সংসদ।
কেন ট্যাব কেনার ১০,০০০ টাকা ফেরত দিতে হবে?
1/7: ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য রাজ্য সরকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে তা সবাইকে ফেরত দিতে হবে, ব্যাপারটা কিন্তু তেমন নয়। সম্প্রতি সরকারি আধিকারিকদের নজরে আসে, বহু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’বার করে ট্যাব কেনার টাকা ঢুকেছে। অর্থাৎ অনেক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারের তরফ থেকে ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার টাকা ক্রেডিট হয়েছে। এরপরই স্কুল শিক্ষা দফতরের কর্তারা নড়েচড়ে বসেন।
2/7: কী করে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার টাকা চলে গেল তা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন করার পদ্ধতিতে কিছু ত্রুটি ছিল। তবে এই ত্রুটি যতটা না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের, তার থেকেও বেশি দুই সরকারি দফতরের সমন্বয়ের অভাবে হয়েছে বলে একান্তে স্বীকার করেছেন সরকারি কর্তারা।
3/7: জানা গিয়েছে ট্যাব কেনার জন্য রাজ্য সরকারের অনলাইন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি হয়। বহু ছেলে-মেয়ে বাংলার শিক্ষা পোর্টালের পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষা পোর্টালেও নাম নথিভুক্ত করে।
4/7: এদিকে স্কুলশিক্ষা দফতর ও কারিগরি শিক্ষা দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে দুটি পোর্টালেই একই পরীক্ষার্থী আলাদা আলাদা করে নাম লেখালেও তা আর ধরা পড়েনি। এর ফলেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’বার করে ট্যাব কেনার টাকা ঢুকে যায়। এখন সেই অতিরিক্ত টাকাটাই ফেরত পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা। কারণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই টাকা ফেরত নিয়ে সরকারি ট্রেজারিতে জমা করতে হবে।
5/7: এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। এর একটা বড় অংশের পরীক্ষার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই দু’বার করে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে। ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে সেই টাকা আদায় করে সরকারের ঘরে ফেরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকেই।
6/7: উচ্চশিক্ষা সংসদের কড়া নির্দেশ, স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিহ্নিত করতে হবে কোন ছেলেমেয়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দুবার করে ১০ হাজার টাকা ঢুকেছে। সেই চিহ্নিতকরণের পর বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাদের থেকে সেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত নিয়ে সরকারের ঘরে জমা করতে হবে।
7/7: ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ঠিক আগে স্কুলগুলির ওপর এই অতিরিক্ত গুরুদায়িত্ব চাপায় বেশ সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, সরকারি কর্তাদের গাফিলতির জেরেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু তার ফল এবার ভুগতে হচ্ছে তাঁদেরকে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 টেট পরীক্ষার সেন্টার কারো পাকিস্তান কারো বাংলাদেশে
🎯 দুর্গাপুর CSIR-এ কর্মী নিয়োগ
🎯 উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ এখনই হচ্ছে না