প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন পর আবার শুরু হয়েছে রাজ্যে। পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মোট শূন্য পদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫ জন। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৪ ও ২০১৭ এর টেট পাশ প্রত্যেকেই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে যত দ্রুত সম্ভব চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করা শুরু করেছেন।
কিন্তু নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার টেট পাশ বেকার ছেলেমেয়েরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। আদৌ তাঁরা কেউ চাকরি পাবেন কিনা এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা ও সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে কী সমস্যা?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জেলাভিত্তিক শূন্য পদের যে তালিকা ঘোষণা করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর এই দুই জেলার কোনও প্রাথমিক স্কুলেই কোনও শূন্য পদ নেই। ফলে এই পর্বে দক্ষিণবঙ্গের এই দুই জেলাতে কোনও নিয়োগ হবে না। শিক্ষার হারে এগিয়ে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের একটিও পদ ফাঁকা না থাকায় বিস্মিত হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা জগত।
শূন্যপদ না থাকায় বিপাকে দুই জেলার টেট পাশরা
নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের পদ শূন্য হওয়ায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে ওই দুই জেলার টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা। কারণ তারা কেউই নিজের জেলার জন্য চাকরির আবেদন করতে পারবে না। একান্তই আবেদন করতে হলে অন্য কোনও জেলায় চাকরি করতে রাজি আছে এই শর্তে তাদের আবেদন করতে হবে। এর ফলে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়বে তেমনই বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে চাকরি করতে হবে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তে দুই জেলার চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাদের দাবি, দুই জেলার কয়েক হাজার প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে বহু স্কুলে মাত্র একজন করে শিক্ষক আছে। তাই নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষকের কোনও পদ ফাঁকা নেই, পর্ষদের এই যুক্তি ঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা।
পূর্ব মেদিনীপুরে জেলার স্কুল সংখ্যা
পূর্ব মেদিনীপুরে মোট প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৩,২৬৫ টি। তার মধ্যে একটিতেও শিক্ষকের দরকার নেই এই যুক্তি কেউই মানতে পারছেন না। বিশেষ করে পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে যখন ৮৪ টি শূন্য পদ ফাঁকা আছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ, তখন কেন পূর্ব মেদিনীপুরে কাউকে নিয়োগ করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শূন্যপদ না থাকা নিয়ে পর্ষদের যুক্তি কী?
নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের কোনও শূন্য পদ ফাঁকা না থাকা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, সম্প্রতি উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বহু প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা এই দুই জেলায় ট্রান্সফার হয়ে এসেছেন। ফলে যে শূন্য পদগুলি ছিল তার সবই ভর্তি হয়ে গিয়েছে।
সেই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এই ধাপের নিয়োগে শূন্য পদ না থাকলেও তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত রিভিউ করেন। তাই পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিঃসন্দেহে এই দুই জেলায় নতুন শূন্য পদের সংখ্যা বের হবে।
এদিকে প্রাথমিকের নিয়োগে প্রকৃত শূন্য পদের সংখ্যা অতি সামান্য হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে টেট পাশদের মধ্যে। কারণ প্রকৃত শূন্য পদ হল ৫,৬০০ জনের মতো। ২০১৪ ও ২০১৭ এর টেট পাসদের মধ্য থেকে এই শূন্য পদে নিয়োগ হবে। বাকি পদগুলিতে পার্শ্বশিক্ষক, প্রাক্তন সেনা কর্মীসহ অন্যান্য এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরিতে নিয়োগ করা হবে।
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন- Click Here
👍 চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো গুরুত্বপুর্ণ আপডেট 👇👇
🎯 ৩১ হাজার টাকা বেতনে এয়ারপোর্টে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি
🎯প্রাইমারি টেটের ফর্ম ফিলাপে বহু ভুল! একটি উপায় আছে
🎯 চাকরির বেতন ফেরানোর জন্য সরকারি নির্দেশ, পথে নামলেন শিক্ষকরা