একই দলের দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচি বা জনসংযোগের লক্ষ্যে দুটি প্রকল্প বলা যেতে পারে। আর তা নিয়েই হৈচৈ পড়ে গিয়েছে বাংলায়। যেহেতু রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই দুটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তাই নানান জায়গায় বলা হচ্ছে আবারও সরকারের দুই ধামাকাধার প্রকল্প বাজারে এসেছে! অনেকেই এর সঙ্গে ‘দুয়ারের সরকার’ প্রকল্পের তুলনা করছেন। কিন্তু বিষয়টা সত্যি কি তাই?
২০২১ এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জেতার পিছনে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের দুয়ারের সরকার প্রকল্প দুর্দান্ত কাজে দিয়েছে। বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরও দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু আছে। এইতো, এখনই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে দুয়ারে সরকারের শিবির চলছে। এক কথায় বলতে গেলে কোটি কোটি পশ্চিমবঙ্গবাসী দুয়ারে সরকার শিবিরের দ্বারা কোনও না কোনভাবে উপকৃত হয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে ঘোষিত নতুন দুই কর্মসূচির সঙ্গে দুয়ারে সরকারের একটা তুলনা চলেই আসছে। এখন প্রশ্ন হল নতুন দুই কর্মসূচি কী, তা আগে জেনে নেওয়া যাক-
(1) দিদির রক্ষা কবচ
(2) দিদির দূত
অতি সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দিদির রক্ষা কবচ ও দিদির দূত নামে নতুন দুই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে বুথ স্তরের কর্মীরা পর্যন্ত এই দুই কর্মসূচির সফল করতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। তৃণমূল কর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের প্রায় ৬০ টি প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলবেন। সেখানে কোনও-অভাব অভিযোগ থাকলে তা নথিভুক্ত করে নেবেন। কেউ যদি যোগ্য হওয়া সত্বেও কোন প্রকল্পের সুবিধা না পেয়ে থাকেন তবে সেটি পাইয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করবেন তৃণমূল কর্মীরা।
আরো আপডেট: প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ইনকাম এই ব্যবসা শুরু করে
এত দূর পর্যন্ত পড়ে মনে হওয়াই স্বাভাবিক, দিদির রক্ষা কবচ বোধহয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন এক প্রকল্প। কিন্তু না, দিদির রক্ষাকবচ ও দিদির দূত এই দুই কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে তৃণমূল কংগ্রেস দলের। এর সঙ্গে সরকারের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে আপনাদের ধারণা আরও পরিষ্কার করার জন্য বলি, দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দিদিকে বলো এগুলো সবই সরকারি প্রকল্প।
অনেকে ভাবছেন ‘দিদিকে বলো’ কি করে সরকারি প্রকল্প হয়! আসলে এটা ঠিক সরকারি প্রকল্প না হলেও সরকার নিয়ন্ত্রিত এক কর্মসূচি ছিল। কারণ ‘দিদিকে বলো’য় বিভিন্ন পরিষেবার বিষয়ে যা অভিযোগ জানানো হত, সে সবই সরকারি কর্মীরাই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে দিতেন। তারপর সেখানকার নির্দেশমতো বহু জায়গায় কাজ করা হয়েছে।
দিদির রক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। আসলে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যব্যাপী জনসংযোগ আরও ভালোভাবে সেরে নিতেই দলের নেতা থেকে বুথ কর্মী, সবাইকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে ময়দানে নামিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এর জন্য প্রত্যেক বিধায়ক-সাংসদদের কাছ থেকে আলাদা করে রোস্টার চেয়ে তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দিদির রক্ষা কবচ কর্মসূচি চলবে বাংলার গ্রামে গ্রামে।
আর দিদির দূত কর্মসূচির অধীনে পাঁচজন করে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে এক একটি দল গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এই দল গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িতে পাত পেড়ে সামান্য মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজ করবে। এমনকি গ্রামের গরিব মানুষের বাড়িতে তারা রাতে ঘুমোবেন বলেও জানিয়েছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দুই কর্মসূচি এনে তৃণমূল রাজ্যজুড়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তার প্রভাব এতটাই যে আমজনতার একটা বড় অংশ ভাবছে এগুলো বুঝি সরকারি প্রকল্প!
আরো আপডেট: সত্যিই কি ২৪ ঘন্টার ভিতর এই সিম কোম্পানি বন্ধ হচ্ছে?
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরি ও কাজের আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 রাজ্যে অ্যাকাডেমিক এবং নন টিচিং স্টাফ নিয়োগ
🎯 ইনফোসিস কোম্পানিতে নিয়োগ ২০২৩