1/8: ফের বিভ্রান্তিমূলক পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের সোমবার রাতে ২০১৭ এর টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। আর শুক্রবার তারা ২০১৪ এর টেট উত্তীর্ণ প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেই তালিকা অসম্পূর্ণ।
2/8: অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে রোল নম্বর আছে কিন্তু চাকরি প্রার্থীর নাম নেই। আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে রোল নাম্বার এবং নাম থাকলেও চাকরিপ্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ঘর ফাঁকা। এই নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়। তবে এই অসম্পূর্ণ নম্বর তালিকা নিয়ে সাফাইও দিয়ে রেখেছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
3/8: ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তাতে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জন। এতদিন তাদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে থেকে প্রায় ৫৮ হাজার জন শিক্ষকের চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু নম্বর জানতে না পারার এই বিষয়টি ক্রমশই বড় ইস্যু হয়ে উঠছিল।
4/8: বিশেষ করে টেটের মেধাতালিকায় কারচুপি, বেআইনি নিয়োগ ঘিরে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রও বর্তমানে উত্তাল। তার উপর নতুন নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে পর্ষদ। এই অবস্থায় প্রাপ্ত নম্বর জানা না থাকলে কারচুপি সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন দ্রুত পর্ষদকে উত্তীর্ণদের নম্বর তালিকায় ঘোষণা করতে হবে। এছাড়াও সংরক্ষিত শ্রেণির যে চাকরিপ্রার্থীরা ৮২ নম্বর করে পেয়েছেন তাঁদেরকে উত্তীর্ণ বলে ধরে নিয়ে নম্বর ঘোষণার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
5/8: আদালতের নির্দেশ মেনে শুক্রবার দু ধরনেরই তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ এর টেটে ৮২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ সাত হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থীর পৃথক একটি নম্বরের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কারোরই নাম নেই, শুধু রোল নম্বর দেওয়া আছে। স্বাভাবিকভাবেই এর কারণ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।
6/8: যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এই অসম্পূর্ণ তালিকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে জানান, ২০১৪ এর টেট অনেক আগে হওয়ায় এই মুহূর্তে তাঁদের কাছে সমস্ত তথ্য নেই। সেই কারণেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে। তবে খুব দ্রুত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে উত্তীর্ণদের নম্বর তালিকায় আপডেট করে দেওয়া হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
7/8: সেই সঙ্গে জানান আদালতের নির্দেশ এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পরামর্শে পর্ষদ এই তালিকা প্রকাশ করেছে। আরও আগে এই নম্বরের তালিকা ঘোষণা করা হতো বলেও জানিয়েছেন গৌতম পাল। সেক্ষেত্রে আদালতের একটি নির্দেশিকায় সালের বিভ্রাট ঘটায় টেকনিক্যাল কারণে দেরি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
8/8: তবে ফের একটি অসম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ্যে আসায় চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি আবারও ইচ্ছাকৃত গরমিল করে কারচুপির পথ খুলে রাখা হল? এখন দেখার এই অসম্পূর্ণ নম্বর তালিকা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা কোনও আইনি পদক্ষেপ করেন কিনা।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 প্রাইমারি টেট নিয়ে আবার নতুন মামলা হাইকোর্টে
🎯 মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগেও OMR জালিয়াতি
🎯 ITBP সাব-ইন্সপেক্টর পদে চাকরি