1/7 দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা আবার চাকরি ফিরে পেলেন! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ফের তাঁদের স্কুলে যাওয়ার এবং ক্লাস নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এই নিয়ে প্রতিটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে কলকাতার পর্ষদ অফিস থেকে নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চাইলে বরখাস্ত হওয়া ২৬৮ জন শিক্ষক আবার চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন।
2/7 টেটের নম্বরে কারচুপি এবং শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকায় গোলমাল করে দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ তুলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এই বিষয়ে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
3/7 তদন্ত রিপোর্ট দেখে তিনি ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যোগ্য না হয়েও অনৈতিক উপায়ে ওই শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
4/7 এরই মধ্যে এক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করে চাকরি ফিরে পান। বাকি ২৬৮ জনের আবেদনের শুনানি হয় সর্বোচ্চ আদালতে। সেখানে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা জানান, তাঁদের কথা না শুনেই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে সর্বোচ্চ আদালত। অর্থাৎ সাময়িকভাবে ওই শিক্ষকদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে স্থগিত করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে ওই শিক্ষকদের আবেদনের শুনানি শুরু করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টকে।
5/7 সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের জেরে পুজোর পর আদালত খুললে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ২৬৮ জন শিক্ষককে কলকাতা হাইকোর্টে চলা দুর্নীতি মামলার অংশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত অফিসিয়াল কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন চলতি নভেম্বর মাস থেকেই প্রতিদিন বিকেল চারটের পর এই শিক্ষকদের শুনানির ট্রায়াল শুরু হবে হাইকোর্টে।
6/7 এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ গত সোমবার বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে ওই বরখাস্ত হওয়া ২৬৮ জন শিক্ষকের চাকরি ফিরিয়ে দিল। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ তাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের উপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিলেও ফের তাদের নিয়োগ করতে হবে কিনা এই নিয়ে কোনও আদালতই নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। সবচেয়ে বড় কথা, এই শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব দ্রুত কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি শুরু হতে চলেছে। তার মধ্যে চাকরি ফিরিয়ে দিয়ে পর্ষদ ঠিক করল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
7/7 যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাদের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই ২৬৮ জন শিক্ষক চাইলেই আবার চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। তবে তাদের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, তারা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔰 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🔥 রাজ্যের বন দফতরে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ
🔥 রাজ্যে সাপোর্ট স্টাফ পদে চাকরি
🔥 ৫৪.৬৭ কে ৫৫ করার দাবী নিয়ে ফেল করেও মিলবে চাকরির সুযোগ!