1/9: 15 মার্চ, বুধবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের শিল্প সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের কথা উঠে আসে। আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা বিনিয়োগ করে চাকরির সংস্থান করা হবে এই কথাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2/9: তবে শিল্পের জন্য জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় 9 হাজার একর জমি শিল্পক্ষেত্র তৈরীর জন্য চিহ্নিত করে ফেলেছে। চিহ্নিত জমিতেই ছোট ও মাঝারি মাপের শিল্প গড়ে উঠবে। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বেশি কর্মসংস্থান হতে চলেছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
3/9: বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন- ‘চাষের অযোগ্য জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। তবে কারও থেকে জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়। সরকারি জমিতে হোডিং দিতে হবে। ওই জমিতে যে শিল্প করিডর হবে তা লিখতে হবে। বৈঠকে তাজপুর বন্দর, শিল্প করিডর নিয়ে আলোচনা হয়। ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে উন্নতি করেছে রাজ্য। আরও 41 লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’
4/9: বাণিজ্য ক্ষেত্রে কলকাতাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে সরকার। তারই কর্মসূচি হিসেবে কলকাতায় তৈরি হতে চলেছে একটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (World Trade Centre)। এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারটি তৈরি করতে মোট 1500 কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
5/9: 35 হাজার বর্গ ফুটের ওই ট্রেড সেন্টারটি তৈরি হয়ে গেলে রাজ্যের প্রায় 35 হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্রেড সেন্টারটি তৈরির জন্য আগামী 21 মার্চ সংশ্লিষ্ট বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
6/9: এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীদিনে 41 লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। অবাক হয়ে যাবেন, এমএসএমই (MSME) সেক্টরে 1 লক্ষ 14 হাজার লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হয়।’
7/9: খড়গপুরে টাটা কোম্পানি তাদের টাটা হিটাচিকে সরিয়ে আনছে বলেও জানিয়েছেন মমতা মন্দ্যোপাধ্যায়। যেকারনে এখানেও ভালো সংখ্যায় কর্মসংস্থান হবে। এর পাশাপাশি রাজ্যে টাটা কোম্পানি একাধিক প্রজেক্টে কাজ শুরু করার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে রাজ্যে।
8/9: এদিন বৈঠকে বাংলার মানুষের কর্মসংস্থান এবং নতুন শিল্পক্ষেত্র তৈরীর পাশাপাশি উঠে আসে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে অভিনেতা এবং বিধায়ক দেবকে নিয়োগ করার কথাও। যদিও বর্তমানে সরকারিভাবে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এখনও শাহরুখ খান।
9/9: তবে এদিন বৈঠকে দেবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আর্জি জানান, ‘দেব, তুমি বাবা একটু বাংলার অ্যাম্বাসেডর হয়ে যাও না। এমনিতে শাহরুখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আছেন। কিন্তু শাহরুখ তো খুব ব্যস্ত। তাই তুমি পর্যটনের অ্যাম্বাসেডর হয়ে যাও। তুমি আরও দু’তিনজনকে নিয়ে নিও।’
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
- রাজ্যব্যাপী কৃষি দপ্তর, গ্রন্থাগার সহ বিভিন্ন দফতরে চাকরি
- ভারতীয় রেলে ৩ লক্ষ শূন্যপদের ঘোষনা
- রাজ্যের তিনটে জেলায় 2500 আশা কর্মীর পদ বাড়ল