1/8: এতদিন ধরে চলা জল্পনা তবে কি এবার সত্যি হতে চলেছে? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কি তবে একসঙ্গে ৪২,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যাবে! মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর এই জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ একটি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “ঢাকি সহ সবকিছু কীভাবে বিসর্জন দিতে হয় তা আমি জানি! দরকারে গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেব।“
2/8: বিচারপতি এখানে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ২০১৬ এর প্যানেল নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ওই প্যানেলের মাধ্যমে বাংলায় প্রায় ৪২,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তৃণমূল জমানার বাকি শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলের মতো এই প্যানেল নিয়েও দুর্নীতি, কারচুপি, স্বজনপোষণ, অযোগ্যদের নিয়োগের ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে বঞ্চিতদের একটি অংশ আগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তবে সেই মামলায় এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে যে তা দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিজের ক্ষোভ আর চেপে রাখতে পারেননি।
3/8: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ২০১৬ এর শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল নিয়ে শুনানি ছিল। এর আগে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই প্যানেলের মাধ্যমে নিযুক্ত হওয়া সব শিক্ষকের নাম, প্রাপ্ত নম্বর সহ তালিকা পর্ষদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে।
4/8: কিছু টালবাহানা শেষে হাইকোর্টের সেই নির্দেশ বাস্তবায়িতও করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারা নিজেদের ওয়েবসাইটে ২০১৬ এর প্যানেলে থাকা সকলের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু তাতে সমস্যা মেটার পরিবর্তে তা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। অভিযোগ উঠেছে ওই প্যানেলভুক্ত ৩২ হাজার শিক্ষককে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
5/8: কারোর নম্বর অন্যায় উপায়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আবার কেউ পরীক্ষায় না বসেই চাকরি পেয়েছেন। অনেকে পরীক্ষার সাদা খাতা জমা দেওয়ার পরও ওএমআর শিটে কারচুপি করে তাদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও বঞ্চিতদের একাংশের অভিযোগ।
6/8: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ২০১৬ এর প্যানেল নিয়ে শুনানি চলাকালীন এই সংক্রান্ত একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসতে থাকে। এমনকি তাদের প্রকাশিত নম্বর তালিকায় বেশ কিছু ভুল আছে বলে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মেনে নিয়েছে।
7/8: এই অবস্থায় প্যানেলে থাকা বেশিরভাগ শিক্ষকের নিয়োগ বেআইনিভাবে হওয়ার অভিযোগ ওঠার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ঢাকি সহ সবকিছু কী করে বিসর্জন দিয়ে দিতে হয় আমি জানি!” তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সতর্ক করে দিয়ে জানান, যদি তারা প্রকৃত সত্য সামনে নিয়ে না আসে প্রয়োজনে গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেবেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে দ্রুত এই বিষয়ে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
8/8: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন ২০১৬ এর প্যানেলে থাকা প্রাথমিক শিক্ষকরা। কারণ আদালত যদি প্যানেল বাতিল করে দেয় সেক্ষেত্রে তাদের চাকরি চলে যাবে। তবে এটা ঘটনা, আদালতে মামলা করা ছাড়াও ২০১৬ এর প্যানেলের মাধ্যমে চাকরি হওয়া নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট কী রায় দেয়।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 ১৮৩ জনের তালিকায় নাম থাকায় আত্মঘাতী হলেন টুম্পা
🎯 টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রুখতে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত পর্ষদের
🎯 পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরে চাকরি