৩ কোটি টাকা নিয়ে ৪৪ জনকে দেওয়া হয়েছে চাকরি! মানিকের বাড়ি থেকে পাওয়া গেল চাঞ্চল্যকর চিঠি

44 people have been given jobs with 3 crore rupees

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার হতে আর‌ও জড়িয়ে পড়ল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইডি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সহ একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে। তাতে যে শুধু মানিকের বিপদ বেড়েছে এমন নয়, পরতে পরতে শিক্ষা দুর্নীতিতে শাসকদলের আর‌ও লোকজনের জড়িয়ে থাকার তথ্য উঠে আসছে।

ইডি জানিয়েছে তারা গত ২২ জুলাই (ওই রাতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি ও অর্পিতা মুখার্জির টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি) মানিক ভট্টাচার্যর বাড়িতেও হানা দিয়ে দুর্নীতির বেশ কিছু প্রামান্য নথি বাজেয়াপ্ত করে। তার মধ্যে হার্ডকপি যেমন আছে, তেমনই ডিজিটাল প্রমাণ‌ও আছে। সেখানেই এক বিস্ফোরক চিঠি পায় ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিটির দাবি এই চিঠিই শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তার অকাট্য প্রমাণ।

44 people have been given jobs with 3 crore rupees

কী আছে ওই চিঠিতে?

ইডির দাবি মতো ওই চিঠিতে লেখা আছে, টাকার বিনিময়ে ৪৪ জনকে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হয়েছে! এর জন প্রত্যেকের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় ৩ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার হাতে গরম প্রমাণ মানিকের বাড়ি থেকেই পেয়েছে ইডি!

এরপর আর‌ও বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের দাবি ওই চিঠিতে লেখা ছিল, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাধারণ সম্পাদক চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ওই টাকা তুলেছে! স্বাভাবিকভাবেই এই চিঠির কথা জানাজানি হতে রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি আর‌ও বেড়েছে।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিঠিতে উল্লেখিত যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকটি ‘কে’, তা জানার জন্য গত ২৭ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে। সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের সময়েও এই বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নদিয়ার পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সঠিক উত্তর দেননি।

ওই বিস্ফোরক চিঠির বিষয়টি ইডি মানিকের কেস ডায়রিতে রেখেছে। পাশাপাশি পার্থ-অর্পিতাকে দেওয়া চার্জশিটে শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি এই মানিককে অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলেও উল্লেখ করেছে। ঘটনা হল, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মানিক গোড়া থেকেই দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে ইডি দাবি করেছে। এমনকি তৃণমূলের লোকজন‌ও তাঁর দুর্নীতির শিকার হয়েছিল বলে খবর। বিষয়টি সম্বন্ধে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানলেও তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী হিসেবে তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেও জানিয়েছে ইডি।

👍 প্রতিদিন চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান

Join Kajkarmo Telegram.jpeg

🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇

🎯 WBCS চাকরি ছেড়ে বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার আসল কারণ

🎯 রাজ্যে প্রাইমারি শিক্ষকদের বেতন কত দেওয়া হচ্ছে? 

🎯 সরকারি চাকরির পরীক্ষা হিন্দিতে দিতে হবে?