রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির মামলা থেকে সরানো হল অভিজিৎ গাঙ্গুলীকে, কেন এমন পদক্ষেপ জানুন

Abhijit Ganguly removed from all state recruitment corruption cases

1/9: রাজ্যে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, গ্রপ সি, গ্রুপ ডি সহ নানান নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা এবং দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগে হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় অবস্থান আন্দোলন করছেন। এই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলাগুলি এখন রাজ্যের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন।

2/9: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর এজলাসে অনেক গুলি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছিল। তবে এবার সেই দুর্নীতি মামলা থেকে অপসারণ করা হল জাস্টিস গাঙ্গুলীকে, তাও খোদ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে

3/9: নিয়োগ দুর্নীতির বহু মামলাতেই বিচারপতির ভূমিকায় ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মামলার শুনানি চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে অসৎ উপায়ে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি বাতিল সহ আরও নানান নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর ফলে যোগ্য বঞ্চিত প্রার্থীদের কাছে তিনি ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সব কিছু ভালোই চলছিল, তবে হঠাৎ করে কেন এই ছন্দ পতন?

4/9: মূল ঘটনার শুরু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারাধীন একটি মামলা নিয়ে একটি পরিচিত সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে। বিচারাধীন বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খোলা যায় কিনা, তা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

5/9: দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলার শুনানি চলছিল, সেগুলি শোনার জন্য অন্য কোনো বিচারপতি নিয়োগ করা হোক। অর্থাৎ, ওই মামলাগুলির বিচারের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হলো বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

6/9: টেলিভিশনের একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তৃণমূল সরকারের আমলে হওয়া স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সাক্ষাৎকার দেন। ওই সময়ে, ওই মামলাটির শুনানি চলছিল হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি কেসও করা হয়।

7/9: এই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, ‘কোনও বিচারপতিই তাদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনোভাবেই টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। যদি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তাহলে ওই মামলা শোনার অধিকার তিনি হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ওই মামলার শুনানির দায়িত্ব অন্য কোনো বিচারপতিকে দিতে হবে।’

8/9: এরপরেই গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ একটি নির্দেশ জারি করে দুর্নীতি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, দুর্নীতি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে, ইতিমধ্যেই তিনি যে সমস্ত মামলায় রায় দিয়েছেন, সেই রায়গুলি কি বহাল থাকবে?

9/9: যে মামলাগুলির শুনানি এখনও শেষ হয়নি, সেগুলির ভবিষ্যতও বা কী হতে চলেছে? এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই দুর্নীতি মামলার বিচারের দায়িত্ব অন্য কোনও বিচারপতির হাতে সঁপে দেবেন

বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।

🔥 হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ: Join Now

এগুলিও পড়ুন 👇👇