1/9: গত বছরের মতো এবারও ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে পাচ্ছে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল পড়ুয়ারা। সোমবার শিশু দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই এই কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। এর ফলে রাজ্যের প্রায় ১০ লক্ষ পড়ুয়া, যারা ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তারা উপকৃত হবে।
2/9: তবে করোনা মহামারীর প্রকোপ অনেকটা কম থাকায় নিয়মিত অফলাইন ক্লাস হচ্ছে এই শিক্ষাবর্ষে, পড়ুয়ারা পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লাস পেয়েছে। তাই এই দশ হাজার টাকা করে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যখন রাজ্যের কোষাগরের পরিস্থিতি খারাপ তখন এই খরচকে অপচয় হিসেবেই দেখছে শিক্ষা জগতের একাংশ। এছাড়াও আরও কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে তারা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
3/9: প্রথমে একটা কথা বলে নেওয়া ভালো, রাজ্য সরকার সরাসরি কোনও পড়ুয়াকে ট্যাব বা স্মার্টফোন কিনে দিচ্ছে না। ‘তরুণের স্বপ্ন’ (Taruner Swapna) প্রকল্পের অধীনে গত বছর দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। এ বছরেও তাই হবে।
4/9: সরকারের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল, এই টাকা ব্যবহার করে স্মার্টফোন বা ট্যাব কিনবে পড়ুয়ারা। যা তাদের উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করবে। কারণ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল অ্যাক্সেস থাকাটা খুব জরুরি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এর সঙ্গে যোগ করেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।“
5/9: কিন্তু শিক্ষা জগতের অনেকের প্রশ্ন, গত বছর প্রথম যখন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় তখন সরকার বলেছিল অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে, তাই পড়ুয়াদের সাহায্য করতে এই ব্যবস্থা। কিন্তু এই বছর যখন অফলাইনে ক্লাস হচ্ছে তখন ট্যাব বা স্মার্টফোন দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি শিক্ষাবিদদের একাংশের দাবি, আর কয়েক মাসের মধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এই সময় নতুন করে ট্যাব বা স্মার্টফোন হাতে পেলে পড়ুয়াদের মনসংযোগ বিঘ্নিত হতে পারে। তারা বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়া এবং মোবাইল গেমে সময় কাটালে পরীক্ষার প্রস্তুতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
6/9: আরেক অংশের শিক্ষাবিদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছে। তাঁদের মতে, রাজ্যের ১০০ শতাংশ পড়ুয়ায় কখনোই মেধাবী হতে পারে না। তাহলে সরকার কীসের ভিত্তিতে মেধাবী পড়ুয়াদের সাহায্য করার কথা বলছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াদের সাহায্য করার কথাও বলেছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
7/9: কারণ রাজ্যের সব পড়ুয়া তো আর অনগ্রসর শ্রেণির নয়। বরং পশ্চিমবঙ্গে অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়ার সংখ্যা শতাংশের বিচারে বেশ কিছুটা কম। তাহলে কেন সকল পড়ুয়াকে এই ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষাবিদদের একাংশের প্রস্তাব সকলকে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার ১০ হাজার টাকার না দিয়ে যাদের প্রকৃত প্রয়োজন তেমন দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের এই অর্থ দিলে সেটা প্রকৃত অর্থে ব্যবহৃত হতো।
8/9: রাজ্যের কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার ইতিমধ্যেই স্মার্টফোন আছে। তারা এই দশ হাজার টাকা পেয়ে ভুল কাজে ব্যবহার করতে পারে বলে শিক্ষকদের একাংশের আশঙ্কা। আবার একটি অংশের মতে, দ্বাদশ শ্রেণীর অনেক পড়ুয়া মা বা বাবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে পড়াশোনা করে। ফলে সেই ডিভাইস থেকে কী করছে ছেলেমেয়ে তার উপর অভিভাবকদের একটা নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু সরকারের টাকায় একেবারে নিজস্ব স্মার্ট ফোন কিনলে তার ওপর অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ অনেক কমে যাবে। তাতে হিতে বিপরীত হবে।
9/9: এদিকে বিরোধীদের দাবি, শিক্ষা ব্যবস্থায় উৎসাহদানের সদিচ্ছা থাকলে রাজ্য সরকার এই অর্থ শুধুমাত্র দুঃস্থ পড়ুয়াদের দিত। সকলকে দিয়ে অপচয় করত না। পাশাপাশি বাকি অর্থ দিয়ে স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা করা হতো, যা সকল ছাত্র-ছাত্রীর কাজে লাগে। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের এই বেহাল আর্থিক অবস্থাতেও ১০ হাজার টাকা করে দান-খয়রাতি করে আসলে ভোট কিনতে চাইছে রাজ্য সরকার। ছাত্রাবস্তাতেই পড়ুয়াদের মেরুদণ্ড নুইয়ে দিতে চাইছে সরকার, এমন অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ।
সবমিলিয়ে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অধীনে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে ট্যাব বা মোবাইল কেনার সরকারি অনুদান ঘিরে এই বছর বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 প্রাইমারি টেটের প্রশ্ন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী উপকৃত হবে
🎯 কেন্দ্র সরকারের দপ্তরে অ্যাসিস্ট্যান্ট সহ বিভিন্ন পদে চাকরি
🎯 ফেসবুকে চাকরির স্বপ্ন মাত্র ২ দিনের মধ্যে শেষ