Babita Sarkar SSC Conrtoversy: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অন্যতম মুখ তিনি। তাঁর জন্যই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনি নিয়োগ ফাঁস হয়েছিল। বলতে গেলে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে যে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে তা এই শিক্ষিকার জন্যই প্রথম ভালোভাবে জানতে পারে রাজ্যবাসী।
পরবর্তীতে মন্ত্রীকন্যার বদলে মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস স্কুলে শিক্ষিকার চাকরিও পান ববিতা সরকার। কিন্তু তাঁরই চাকরি নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠে গেল। আপাতত যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তা দেখে অনেকেই বলছেন, ববিতাই অন্য যোগ্যদের বঞ্চিত করে শিক্ষিকা হয়েছেন। অন্যায়ভাবে তাঁর ২ নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছে এসএসসি (WBSSC)!
সবমিলিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় শিক্ষিকার চাকরি পাওয়া ববিতা সরকারের নিয়োগ নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
ববিতা কী করেছেন?
ববিতা সরকার নিজে কিছু করেননি। কিন্তু এসএসসি সম্প্রতি প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের বিভাজন প্রকাশ্যে আনতেই চমকে গিয়েছে সবাই। তাতে দেখা যাচ্ছে অ্যাকাডেমিক স্কোরে ববিতার ৩১ নম্বর পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন ৩৩!
এসএসসির বিরুদ্ধে ববিতার করা মামলার ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি-কে নির্দেশে দেয়, প্যানেলে নাম থাকাদের (নিয়োগপত্র পাওয়া ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা উভয়ের) নম্বর ব্রেকআপ প্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ, কোন ক্ষেত্রে কে কত নম্বর পেয়েছে তা ভেঙে ভেঙে সর্বসমক্ষে জানাতে হবে। এসএসসি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশমতো সেই তালিকা প্রকাশ করতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এসএসসির তালিকাতে দেখা যাচ্ছে ববিতা সরকার অ্যাকাডেমিক স্কোরে ৩৩ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু এসএসসি-র কাছে জমা দেওয়া ববিতা সরকারের মার্কশিট লেখা যাচ্ছে তিনি স্নাতকস্তরে ৮০০ এর মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছিলেন। অর্থাৎ, ৫৫ শতাংশ নম্বর পান। সেই হিসেবে অ্যাকাডেমিক স্কোরে তাঁর ৩১ নম্বর পাওয়ার কথা। কিন্তু এসএসসি ৩৩ নম্বরর দিয়েছে। অর্থাৎ, ববিতা সরকার ২ নম্বর অতিরিক্ত পেয়েছেন।
এদিকে এই ২ নম্বর কমে গেলে ববিতা সরকারের চাকরিই পাওয়ার কথা নয়। তাঁর জায়গায় অন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর সুযোগ পাওয়া উচিৎ।
এই নিয়ে ববিতা সরকার কী বলছেন?
এদিকে এই নম্বর নিয়ে বিতর্কের অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন ববিতা সরকার। তিনি গোটা ঘটনার দায় এসএসসির ঘারেই চাপিয়েছেন। তাঁর দাবি, এসএসসি আগে নম্বর বিভাজন প্রকাশ করেনি বলেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি চাকরি পাওয়ার তিন মাস পর এসএসসি এই নম্বর বিভাজন প্রকাশ করেছে বলে জানান। এর ফলেই গোটা গোলযোগ ঘটেছে বলে ববিতার দাবি।
ববিতা জানিয়েছেন তিনি যোগ্যদের বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগেও যেমন ছিলেন আগামী দিনেও তেমনই থাকবেন। আদালত যদি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় তবে তিনি সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষিকার চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন বলেও জানান।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরি ও কাজের আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 ISRO-তে গ্রুপ-সি আসিস্ট্যান্ট, ক্লার্ক নিয়োগ
🎯 প্রাইমারি ইন্টারভিউয়ের তিন দফার তারিখ ঘোষনা হলো
🎯 ৮১ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতনে সরকারি চাকরি