বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এল। তবে এবার সিবিআই (CBI) নয়, এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করল রাজ্যের সিআইডি (CID)। তাদের সূত্র ধরেই জানা গেল- গত তিন বছর ধরে টানা একই মেমো নম্বরে বেতন পাচ্ছেন দুই শিক্ষক! গোটা বিষয়টি জেলা থেকে রাজ্য, শিক্ষা দফতরের সব আধিকারিকের নাকি নজর এড়িয়ে গিয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে এসএসসি (WBSSC) পরীক্ষার উত্তরপত্রে কারচুপি, মেধা তালিকায় কারচুপি, ঘুষ দিয়ে চাকরি এসবের সঙ্গে এতদিন পরিচয় ছিল বাংলার মানুষের। এবার সিআইডি তদন্তে দেখা গেল- শিক্ষা দফতর ও অর্থ দফতরের গুরুত্বপূর্ণ নথি জাল করে দিব্যি শিক্ষক হয়ে গিয়েছেন একজন! আর টানা তিন বছর ধরে তিনি দিব্যি সরকারি বেতন পেয়ে আসছেন!
একই মেমো নম্বরে দু’জন ‘শিক্ষকের’ বেতন পাওয়ার বিষয়টি ঠিক কী?
1/5: এই চাঞ্চল্যকর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের দায়ের হওয়া একটি মামলার সূত্র ধরে। সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি প্রতারণা করে তাঁর বদলে চাকরি করছেন। ওই ব্যক্তিকে ভুয়ো শিক্ষক (Fake Teacher) বলেও অভিযোগ করেন সোমা রায়। এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গোটা বিষয়টি সিআইডিকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত অনিমেষ তিওয়ারির বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আরো আপডেট: প্রাইমারি টেটের রেজাল্ট কবে দেবে? পর্ষদের তরফ থেকে আপডেট!
2/5: তদন্তের নির্দেশ পেয়ে সিআইডির একটি দল বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা শিক্ষা ভবনে তদন্ত করতে হাজির হয়। সেখানে বর্তমান স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল, প্রাক্তন স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী দে বিশ্বাস সহ জেলা শিক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নথি খতিয়ে দেখেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
3/5: বহরমপুরের জেলা শিক্ষা দফতরের কার্যালয়ের নথি খতিয়ে দেখতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁরা দেখতে পান, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি হাইস্কুলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতি। এই ভূগোলের শিক্ষক বৈধভাবেই চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর মেমো নম্বর জাল করে মুর্শিদাবাদেরই ওপর একটি স্কুলে শিক্ষকের চাকরি করছেন অনিমেষ তিওয়ারি ঘটনাচক্রে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবার অনিমেষের বাবা আশিস তিওয়ারি! জানা গিয়েছে সরকারি নথি জাল করে এই বেআইনি চাকরি পেতে ছেলেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন প্রধান শিক্ষক বাবা।
আরো আপডেট: ৭৩ বছরের পুরোনো ইনকাম ট্যাক্স ব্যবস্থা বদলে যাচ্ছে!
4/5: এই সরকারি নথি জাল করে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি দেখে সিআইডির চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে। তবে তদন্তকারী অফিসাররা সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন, বর্তমানে অনলাইন ব্যবস্থায় বেতন দেওয়া হলেও তাতে কেন একই মেমো নম্বরে দু’জনের বেতন হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ল না তা দেখে!
5/5: সিআইডি মনে করছে, যতই মেমো নম্বর জাল করে চাকরি পাক না কেন, ওই ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের তিন বছর ধরে বেতন পেয়ে আসাটা রীতিমত অস্বাভাবিক। এই ঘটনার সঙ্গে জেলা শিক্ষা দফরের কোনও আধিকারিক জড়িত আছেন কিনা তাঁরা সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন। এদিকে কলকাতায় কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারির ওই স্কুল চত্বরে প্রবেশ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
Important Links: 👇👇👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপ | Join Now |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ন আপডেট-Click Here