রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতের নির্দেশে সিবিআই (CBI) তদন্ত করছে। সোমবার সেই তারা কলকাতা হাইকোর্টে এই দুর্নীতির পরিমাণ ঠিক কতটা তা একটি রিপোর্ট জমা দিয়ে জানিয়েছে। আর তাতেই যেন বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে বাংলায়।
যে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির কথা বলেছে সিবিআই তা দেখে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়। বিচারে এই রিপোর্ট যদি সম্পূর্ণ সঠিক বলে মান্যতা পায় তবে বিপুল পরিমাণ কর্মরত শিক্ষকের চাকরি যে যাবে তা একরকম নিশ্চিত। সেইসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে এক বিরাট শূন্যতাও তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিবিআই রিপোর্টে ঠিক কী আছে?
1/5: কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে আগেই প্রাথমিক চার্জশিট জমা করেছিল। তার ভিত্তিতেই প্রথমে ১৮৩ এবং পরে আরও ৪০ জন অযোগ্য শিক্ষকের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে এসএসসি। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট যে রিপোর্ট জমা করেছে তা বাকি সব কিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
2/5: সিবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে কমপক্ষে ২১ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে! এর আগে বঞ্চিত যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা দাবি করেছিল, দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগের সংখ্যা হাজার দশেক হবে। তাঁরাও ভাবতে পারেননি বিষয়টি আসলে ২১ হাজারে গিয়ে ঠেকবে!
3/5: শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের ওই রিপোর্টের দ্বিতীয় অংশে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য আছে। তারা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এই ২১ হাজার নিয়োগ দুর্নীতি করার জন্য ৯ হাজার নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। কারোর উত্তরপত্রে পরীক্ষার পর উত্তর লিখে দেওয়া হয়েছে, আবার কারোর উত্তরপত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই গোটা বিষয়টি এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরের ভট্টাচার্যের প্রত্যক্ষ মদতে ঘটেছে বলে সিবিআই তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে।
4/5: উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই ওএমআর শিটে কারচুপির সন্ধান পেয়েছিল। এই সংক্রান্ত তথ্য তারা কলকাতার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি হার্ডডিস্কেও পায়। বাংলার নিয়োগ পরীক্ষার তথ্য কী করে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে পৌঁছল তা নিয়ে অবাক হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টও।
5/5: এরপরই সিবিআইকে এই দুর্নীতির একেবারে গোড়ায় পৌঁছনোর নির্দেশ দেয় আদালত। আর তারপরই সিবিআই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে ওই বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা করে।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিপিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে সোমবার সিবিআই এই দুর্নীতি নিয়ে তাদের রিপোর্টটি জমা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের অপর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রুখতে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত পর্ষদের
🎯 রেলের নিয়োগে বিরাট পরিবর্তন-চালু হবে নতুন নিয়ম
🎯 রাজ্যের লাইব্রেরী ফাউন্ডেশনে গ্রুপ-C পদে চাকরি