1/7: একে বলা যেতে পারে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বহু অপেক্ষার পর অবশেষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) বাড়ল। একধাক্কায় ১২ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করল সরকার। এ যেন নতুন বছরের উপহার!
2/7: এই প্রতিবেদনের প্রথম লাইনগুলো পড়ে মনে হওয়া স্বাভাবিক, দীর্ঘ টালবাহানার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্মীদের ডিএ বাড়িয়েছে। কিন্তু না! বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য এই বিষয়ে কোনও সুখবর নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডিএ মোটেও বাড়ায়নি। এই নিয়ে মামলা সর্বোচ্চ আদালতের বিচারাধীন। তবে আরেক বাংলাভাষী রাজ্যের সরকারি কর্মীরাই এই ডিএ বাড়ার সুখবর পেয়েছেন। ঠিক ধরেছেন, ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ১২ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির সুখবর শুনিয়েছে সে রাজ্যের সরকার।
3/7: ত্রিপুরা সরকার কর্মরত সরকারি কর্মীদের শুধু ডিএ বাড়ায়নি, অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর)-ও বাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি সে রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক ও ভাতাপ্রাপ্ত সরকারি পরিষেবা কর্মীদের বেতনও ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। নতুন বছর পড়ার আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সাংবাদিক বৈঠক করে এই সুখবর শুনিয়েছেন রাজ্যবাসীকে।
4/7: এক ধাক্কায় ১২ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীদের ৫০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ফলে ছোট পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার প্রায় ১ লক্ষ ৯৪ হাজার পরিবার উপকৃত হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই খবর খুশির হাওয়া বয়ে এনেছে ত্রিপুরার সরকারি কর্মীদের মনে।
5/7: এর আগে বাংলার মতোই ত্রিপুরার সরকারি কর্মীরা যথেষ্ট কম ডিএ পেতেন। মাত্র ৮ শতাংশ ডিএ পেতেন তাঁরা। এই ১২ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে ত্রিপুরার সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে দাঁড়াল ২০ শতাংশে। যদিও এর পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ডিএ-র হারের থেকে অনেকটাই কম থাকল ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ-র পরিমাণ। উল্লেখ্য, কেন্দ্র তার কর্মীদের ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ দিয়ে থাকে।
6/7: এরফলে বর্তমানে সারাদেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরাই সবচেয়ে কম ডিএ পাচ্ছেন। যার ফলে দেশের বাকি সরকারি কর্মীদের থেকে বাংলা সরকারি কর্মীদের মোট বেতনের পরিমাণও অনেকটাই কম হয়। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের মনে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বাসা বেঁধে আছে।
7/7: চলতি ডিসেম্বর মাস থেকেই ত্রিপুরার রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন। যদিও এই ডিএ বৃদ্ধি সম্পূর্ণভাবে বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বলে বিরোধীরা সমালোচনা করেছেন। ঘটনা হল, আগামী ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরি ও কাজের আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট- Click Here