WB Education Commission: রাজ্যের বেসরকারি স্কুল গুলির জন্য নতুন নিয়ম আনল সরকার! সব স্কুলকেই মানতে হবে এই নিয়ম

Education Commission Formation in west bengal for Private School

বেসরকারি স্কুল মানেই ইচ্ছেমতো ফি বৃদ্ধি আর ‘যা ইচ্ছে তাই করব’ মানসিকতা পরিচিত ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলায়। এমনকি করোনা সংক্রমনের সময় সমস্ত মানুষের আয় যখন বন্ধ, সমস্ত স্কুলে পঠন-পাঠন হচ্ছে না, স্রেফ অনলাইনে কয়েকটি ক্লাস করিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা শহরের বহু নামিদামি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে।

শোনা যায় কিছু কিছু বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য অভিভাবকদের মাসে নাকি ১০ হাজার টাকার বেশি টিউশন ফি দিতে হয়! লাখপতি নয়, কোটিপতির ছেলে না হলে কিছু বেসরকারি স্কুলে সন্তানকে পড়ানোর কথা ভাবতেও পারেন না অভিভাবকরা! অতীতের যাবতীয় ধ্যান-ধারণা ভেঙে শিক্ষা এখন লোভনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে এই বেসরকারি স্কুলগুলোর হাত ধরে।

এমনকি অনেক অভিভাবক আক্ষেপের সঙ্গে বলেন- প্রাইভেট স্কুলগুলো ব্যাগ, স্কুল ড্রেস, বই-খাতা বিক্রির দোকান হয়ে উঠেছে! ঘটনা হল প্রতিবছর বাজারদরের থেকে অনেক বেশি টাকা নিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের ব্যাগ, জুতো, স্কুল ড্রেস ইত্যাদি বিক্রি করার অভিযোগ‌ও আছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি স্কুলগুলোর সেই রমরমার দিন এবার শেষ হতে চলেছে। কারণ রাজ্য সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষা কমিশন (Education Commission) তৈরির কথা ঘোষণা করেছে।

গত কয়েক বছরে বেসরকারি স্কুলগুলো হঠাৎ হঠাৎ বিপুল পরিমাণ ফি বৃদ্ধি, করোনার সময় বেতন দিতে দেরি হওয়ায় দুঃস্থ পড়ুয়াদের রেজাল্ট আটকে দেওয়া, করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকলেও ক্লাসরুমের ইলেকট্রিক বিল, বাস ভাড়া, বিল্ডিং মেনটেনেন্সের খাতে বেতন নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগে বহু মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

অভিভাবকরা বারবার অভিযোগ করেছেন, বেসরকারি স্কুলগুলোর গাজোয়ারি মনোভাবের ফলে তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বেসরকারি স্কুলগুলোর এই ভয়ঙ্কর ব্যবসায়িক মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন।

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বেসরকারি স্কুলের ফি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলে- এই বেসরকারি স্কুলগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকার কেন কোন‌ও ব্যবস্থা নেয়নি সেটাই বিস্ময়কর! এর পরই তিনি এই বিষয়ে রাজ্যকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পরই রাজ্য শিক্ষা দফতর ঠিক করে কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে সমস্ত বেসরকারি স্কুলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গড়ে তোলা হবে শিক্ষা কমিশন।

রাজ্যের শিক্ষা কমিশন কী করবে?

রাজ্য সরকার ঘোষিত শিক্ষা কমিশন নানানভাবে বেসরকারি স্কুলগুলির লাগামছাড়া মনোভাবকে নিয়ন্ত্রণের রাখবে। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য আরও একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার, এগুলি নিম্নরূপ- 

(1) বেসরকারি স্কুলগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গড়ে তোলা হবে শিক্ষা কমিশন

(2) বেসরকারি স্কুলগুলো এবার থেকে চাইলেই ইচ্ছামত বেতন বাড়াতে পারবে না। শিক্ষা কমিশন এই বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দেবে। তা মেনেই বেতন নির্ধারণ করতে হবে বেসরকারি স্কুলগুলোকে।

(3) বেসরকারি স্কুলের বেতন সহ যেকোনও সমস্যা নিয়ে অভিযোগের শুনানি হবে শিক্ষা কমিশনে। এমনকি পুরানো অভিযোগগুলোরও নিষ্পত্তি শিক্ষা কমিশন করবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে।

(4) এবার থেকে সব প্রাইভেট স্কুলে বাংলা বাধ্যতামূলক হল। উল্লেখ্য কলকাতার বেশিরভাগ বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাংলা পড়ানো হতো না। কিন্তু রাজ্য সরকার পরিষ্কার জানিয়েছে, এবার থেকে প্রতিটি বেসরকারি স্কুলে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা বাধ্যতামূলক। সেইসঙ্গে আরও একটি ভাষা পড়ানো যাবে।

তবে বড় বড় কর্পোরেট সংস্থা যেভাবে বেসরকারি স্কুল খুলে বিপুল মুনাফা অর্জন করছিল তাতে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে তারা কতটা সদর্থক ভাবে নেবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে।

বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।

🔥 হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ: Join Now

🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇

👉 রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নতুন নিয়ম শুরু হলো

👉 ফুড SI এর ফর্ম ফিলাপ কবে থেকে শুরু হচ্ছে?

👉 রাজ্যে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দপ্তরে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

👉 রাজ্যে SDO অফিসে আশা কোঅর্ডিনেটর পদে চাকরি

👉 CIL এ অনেকগুলি পদে চাকরি, 1764 টি শূন্যপদে নিয়োগ

Previous articleরাজ্যে SDO অফিসে আশা কোঅর্ডিনেটর পদে চাকরি, মাসিক বেতন 15 হাজার টাকা
Next articleIPPB তে এক্সিকিউটিভ পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, মাসিক বেতন 30 হাজার টাকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here