1/7: কোলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠন করা হলো‘মৈত্র কমিটি’। ২০১০ সালে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেছিল তাদের সঙ্গে বর্তমানে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে বা সদ্য পাশ করেছে তাদের বহু পার্থক্য। না, পরীক্ষার্থীদের মন-মানসিকতা বদলে যাওয়ার কথা এখানে বলা হচ্ছে না। পরীক্ষার সিলেবাস, প্রশ্নের ধরন, নম্বর দেওয়ার হার এগুলো আমূল বদলে গিয়েছে।
2/7: ২০০৫ সাল পর্যন্ত নবম-দশমের পাঠ্যসূচি নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা হত। তারপর শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাসের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। একই কথা খাটে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে। এরপর প্রায় প্রতি বছর কিছু না কিছু সিলেবাস বদলেছে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রশ্নের ধরনের আমূল বদলে এসেছে। আর তাতেই ব্যাপক চাপে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
3/7: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন এখন অনেক বেশি MCQ ধর্মী হয়ে উঠেছে। ফলে নম্বরও উঠছে দেদার। এখন ইতিহাসেও ১০০ তে ১০০ নম্বর পাচ্ছে পড়ুয়ারা। যা ১০-১২ বছর আগেও ভাবা যেত না। সবটাই প্রশ্নপত্রের ধরন বদলে যাওয়ার পর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
4/7: তারপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে ২০ নম্বরের প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। যা কয়েক বছর আগেও প্র্যাকটিক্যাল বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে ছিল না। ফলে হু হু করে নম্বর উঠছে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি হয়েছে কয়েক বছর আগে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের।
5/7: চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নম্বরের এই বৈষম্যের বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ২০১৪ এর টেট পাশ এক চাকরিপ্রার্থী। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) এক নজিরবিহীন রায় দেন। বিচারপতিও আগে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি মেনে নেন।
6/7: কারণ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির ইন্টারভিউ পর্বে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। সেখানে এই নম্বর বৈষম্য থাকলে কয়েক বছর আগে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা সম্প্রতি পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের কাছে সালে পানি পাবে না!
7/7: এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শুভময় মৈত্রর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক কমিটি তৈরি করে দেন। এই ‘মৈত্র কমিটি’ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির ক্ষেত্রে নম্বর বৈষম্য দূর করার জন্য কোনও একটি ফর্মুলা বের করার দায়িত্ব পেয়েছে। যাতে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বৈষম্য দূর হয়। মৈত্র কমিটির দিকেই এখন তাকিয়ে আছে বছর কয়েক আগে পাশ করা বাংলার কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী।
বি:দ্র: প্রতিদিন নতুন কোনো চাকরি এবং কাজের আপডেট সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হয়ে থাকুন।
🔥 গুরুত্বপূর্ণ লিংক: 👇👇👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপ | Join Now |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো আপডেট 👇👇
- 2022 টেটেও দুর্নীতি? বাড়ি থেকে উদ্ধার কয়েকশো অ্যাডমিট
- পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছাপাখানায় গ্রুপ-D পদে চাকরি
- এই অঙ্কটি করতে পারলেই চাকরি গ্যারান্টি