1/10: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একই সঙ্গে বিতর্ক এবং আশার আলো। নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য সিলেকশন কমিটি গড়া নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বিতর্কে জড়াল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারা সরকারের কাছে সিলেকশন কমিটিতে প্রতিনিধি চেয়ে চিঠি পাঠায়।
2/10: কিন্তু প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে স্কুল শিক্ষা দফতরের কর্তারা কোনও প্রতিনিধি পাঠাতে রাজি হননি। উল্টে এই সংক্রান্ত আইনের কথা তুলে বিষয়টি থেকে কার্যত হাত ঝেড়ে ফেলেন। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়।
3/10: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্ব জেলায় জেলায় মিটে গিয়েছে। কিন্তু এতোদিন সিলেকশন কমিটি গঠন না হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছতে পারছিল না। কারণ ২০১৪ সালে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিধিতে পরিবর্তন আনে। তার ফলে ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলি চাকরিপ্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে পর্ষদের সিলেকশন কমিটির কাছে পাঠাবে। তারা উপযুক্ত নথি ও রস্টার দেখে নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে।
4/10: সিলেকশন কমিটি যদি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পাঠানো তালিকায় কোনও অনিয়মদ দেখে তবে নিয়োগ আটকে দিতে পারে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই কমিটির অত্যন্ত গুরুত্ব আছে।
5/10: বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি বিতর্কে জড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এতে সরকারের ভাবমূর্তিও খারাপ হয়েছে। বিষয়টি বৃহত্তর রাজনীতির মঞ্চে ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে।
6/10: কিন্তু এবার শিক্ষক নিয়োগে আর কোনরকম বিতর্ক তৈরি হোক চাইছে না পর্ষদ। তারা সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ করতে চাইছে। এই বিষয়ে সরকারের উপরমহল থেকেও চূড়ান্ত চাপ আছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই ‘চাপের’ কারণেই সিলেকশন কমিটিতে সরকারি প্রতিনিধি চেয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Pal)। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে কোনও বিতর্ক তৈরি হলে গোটা দায় একা পর্ষদের ঘাড়ে চাপত না।
7/10: কিন্তু পর্ষদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কারণেই সম্ভবত স্কুল শিক্ষা দফতর সিলেকশন কমিটিতে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে চায়নি বলে মনে করছে একাংশ। তবে পর্ষদের আইনে স্কুল শিক্ষার দফতরের প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি নেই।
8/10: তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পর্ষদ সভাপতি প্রতিনিধি চাওয়ার পরও স্কুল শিক্ষা দফতর যেভাবে তা ফিরিয়ে দিয়েছে বা উপেক্ষা করেছে সেটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে পর্ষদের উপর স্কুল শিক্ষা দফতরের বিশেষ ভরসা নেই। বা হতে পারে আগামী দিনে ফের যদি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় তবে তা থেকে যাতে সরকার দূরত্ব রাখতে পারে তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
9/10: তবে স্কুল শিক্ষা দফতর প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকার করার পরই সেই দফতরেরই গড়ে দেওয়া পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির বইঠকে সিলেকশন কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
10/10: এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Pal) বলেন, “বিধি মেনেই আমরা সিলেকশন কমিটি গঠন করেছি। তাতে তফসিলি জাতি, উপজাতি, ল অফিসার এবং ট্রান্সজেন্ডার প্রতিনিধি সহ অন্যরাও আছেন। আগে কখনও এ ভাবে বিধি মেনে সিলেকশন কমিটি গঠিত হয়নি।“
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন।
গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলি (Important Links)
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
- মাধ্যমিক পাশে রেলে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ
- মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের এই উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
- দক্ষিণ পূর্ব রেলে চাকরি, প্রতিমাসে 32 হাজার টাকা বেতন
- OBC, SC, ST প্রার্থীদের জন্য কর্মসংস্থান