সরকারি কর্মী মানেই ‘আসি যাই মাইনে পাই’, এমনই ধারণা আছে আমাদের অনেকের মধ্যে। তা যেমন সঠিক নয়, আবার ভুলও নয়! কারণ বহু সরকারি কর্মীকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নির্ধারিত সময়ের পরেও কাজ করে যেতে হয়। তবে আমাদের আশেপাশেই এমন অনেক সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে নিচুতলার কর্মী আছেন যাদের দেখলেই মনে হয় ‘কাজ করার কোনও ইচ্ছে নেই’।
যদিও বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মীদের এমন বিলাসের অবকাশ নেই। সেইসঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মীদের সঙ্গে সরকারি কর্মীদের আরেকটি বড় তফাৎ হল, নির্দিষ্ট পোশাকবিধি না থাকা। নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরে অফিসে আসাটাই সাধারণ ক্ষেত্রে দস্তুর। তবে সেই দিন বোধহয় এবার ঘুচতে চলেছে। সরকারি কর্মীদেরও এবার নির্দিষ্ট পোশাক পরেই অফিসে আসতে হবে।
‘নো ক্যাজুয়াল, অনলি ফর্ম্যাল’
উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলা প্রশাসন তাদের অধীনে থাকা সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে জিন্স, টি-শার্ট, কুর্তা-পাঞ্জাবি পরে অফিসে আসা চলবে না। এমনকি পায়ে স্যান্ডেল বা কিটো ধরনের জুতো পরে আসার উপরেও বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। ফর্ম্যাল পোশাক, অর্থাৎ ট্রাউজার প্যান্ট এবং ফুল স্লিভ শার্ট ইন করে, অর্থাৎ গুঁজে পরতে হবে। এবং পায়ে ফর্ম্যাল শু পরে অফিসে আসার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে বেরেলির জেলাশাসক শিবকান্ত দ্বিবেদী বলেন, “একেক জন একেক ধরনের পোশাক পরে অফিসে আসায় কে সরকারি কর্মী, আর কে নয় সেটা পরিষ্কার বোঝা যেত না। তাছাড়া সরকারি কর্মীদের সবাই যাতে সহজে চিনতে পারেন এবং সম্মান করেন সেই কারণে ফর্ম্যাল ড্রেস কোড নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।”
সরকারি ক্ষেত্র মানেই কি যেমন খুশি পোশাক?
বেসরকারি কর্ম ক্ষেত্রের তুলনায় সরকারি কর্মীরা নানান দিক থেকে অনেক বেশি ছাড় পান এটা সত্যি। তাঁদের বেশিরভাগ জায়গাতেই স্কুল পড়ুয়াদের মতো নির্দিষ্ট ড্রেস কোড মানতে হয় না এটাও সত্যি।
কিন্তু তা বলে সরকারি অফিস মানে নির্দিষ্ট ড্রেস কোড নেই এই ধারণাও ঠিক নয়। সরকারি হাসপাতালের নার্স, সরকারি পরিবহন সংস্থার কর্মী, রেলের টিকিট পরীক্ষক সহ অসংখ্য জায়গা আছে যেগুলি সরকারি চাকরি হলেও কর্মীদের নির্দিষ্ট ড্রেস কোড মেনেই অফিসে আসতে হয়।
শুধু তাই নয় তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফর্মও আছে, সেটা পরে আসাটা বাধ্যতামূলক। এতটা কড়াকড়ি আবার বেসরকারি ক্ষেত্রেও অনেক সময় দেখা যায় না।
তবে বিশেষজ্ঞরা উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপের প্রশংসাই করেছেন। তাঁদের মতে, একটা নির্দিষ্ট ড্রেস কোড থাকলে সরকারি কর্মীদের মধ্যে নিয়ম-শৃঙ্খলার বোধ আরও বাড়বে, যা সাধারণ মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে সাহায্য করতে পারে।
👍 নতুন কোনো চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
- রাজ্যে নতুন নিয়োগ নিয়ে কড়া নির্দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
- 1901 শূন্যপদে কেন্দ্রীয় সংস্থায় গ্রুপ-B এবং গ্রুপ-C নিয়োগ
- CCL সংস্থায় স্থায়ী চাকরির বিজ্ঞপ্তি