রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে জটিলতা এবং আন্দোলনের যেন শেষ নেই। সরকারি নির্দেশিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবার পথে নামলেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে সরকার পোষিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের যে ভাতা ফেরতের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তারই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন প্রধান শিক্ষকরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে সরকার বিষয়টি বিচার বিবেচনা না করলে তাঁরা বড়সড় আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন।
কেন প্রধান শিক্ষকদের ভাতা ফেরাতে হবে?
গত ১৩ অক্টোবর রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যাতে বলা হয় ২০১৯ সালে রোপা চালুর আগে পর্যন্ত রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা মূল বেতনের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৩ শতাংশ ভাতা পেতেন। এরপর ২০২০ সালে শিক্ষকদের জন্য পে কমিশন চালু হলে অতিরিক্ত ভাতা বা বেতনের বিষয়টি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকারা এই অতিরিক্ত ভাতা বা বেতন মূল মাইনের সঙ্গে তুলেছেন।
১৩ অক্টোবরের ওই নির্দেশিকাতেই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকরা যেন তাঁদের নেওয়া অতিরিক্ত ভাতা সরকারকে ফিরিয়ে দেন। না হলে নিয়ম মেনে কড়া পদক্ষেপের কথা বলা হয় সেখানে। ঘটনা হল, এই প্রথম নয়, এর আগে চলতি বছরের ২ মে তারিখেও এমনই একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর।
বেতন ফেরতের সরকারি নির্দেশ নিয়ে প্রধান শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া
সরকার যে আইনের কথা তুলে ধরে অতিরিক্ত বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, সেটাই কার্যত মানতে রাজি নন রাজ্যের সরকার পোষিত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, সরকারি এই নির্দেশিকা তাঁদের পদের পক্ষে যেমন অমর্যাদাকর তেমনই এই নির্দেশিকার ফলে তাঁরা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এছাড়াও স্কুলের প্রধান হিসেবে তাঁদের প্রায় সর্বক্ষণ বিপুল পরিমাণ কাজ করতে হয়। তাই অতিরিক্ত বেতন বা ভাতা না পেলে কেন কেউ প্রধান শিক্ষকের গুরু দায়িত্ব সামলাতে রাজি হবেন সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
সরকার পোষিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকাদের একইসঙ্গে অভিযোগ, তাঁদের বেতন ফেরাতে হলেও সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সরকারের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ির সমস্ত সরকার পোষিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা ডিআই (DI) অফিসের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। তাঁরা ডিআই-এর হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন।
ঘটনা হল, যে অতিরিক্ত ভাতার কথা বলা হচ্ছে তার পরিমাণও খুব বেশি নয়। অন্যান্য শিক্ষকদের থেকে বড়জোর ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা অতিরিক্ত পেতেন সরকার পোষিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বরং দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আলাদা পে স্কেল তৈরির দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই দাবি পূরণ তো দূরের কথা, সেই সামান্য কয়েকশো টাকার অতিরিক্ত ভাতাও এবার ফিরিয়ে দিতে হবে বলে নির্দেশিকা এসেছে। এই অবস্থায় প্রধান শিক্ষকরা যদি আন্দোলনের পথে হাঁটেন তবে রাজ্যের হাজার হাজার স্কুলে ব্যাপক অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
✅ কাজকর্ম Whatsapp গ্রুপে জয়েন হোন- Click Here
👍 চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো গুরুত্বপুর্ণ আপডেট 👇👇
🎯 প্রাইমারিতে রাজ্যের কোন জেলায় কত শূন্যপদ? লিস্ট দেখুন
🎯 রাজ্যে টাকা ছাপানোর কাজে চাকরি
🎯 IBM সামার ইন্টার্নশিপ ২০২৩ এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলো