SSC Group D Case: চাকরি হারিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গ্রুপ-ডি কর্মীরা, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

Group-D employees lost their jobs in the Supreme Court

1/7: বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর জ্বালায় ছটফট করছেন রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির বরখাস্ত হ‌ওয়া গ্রুপ-ডি কর্মীরা। অবশ্য করবে নাই বা কেন। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে দিব্যি সরকারের থেকে বেতন পাচ্ছিলেন। জীবনটা বেশ গুছিয়েও নিয়েছিলেন তাঁরা। এই অবস্থায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরই চাকরি হারাতে হয়েছে। ফলে সাজানো-গোছানো জীবনটা মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শান্ত হয়ে বসে থাকা কী সম্ভব!

2/7: এসএসসির মাধ্যমে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগে যেমন দুর্নীতি হয়েছে তেমনই গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে সিবিআই তদন্ত করে প্রমাণ করে দেয় ১৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কারচুপি করে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই কর্মীদের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের পরীক্ষার ওএমআর শিট, মেধা তালিকায় কারচুপি করে যোগ্যদের টপকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

3/7: হাইকোর্টে এসএসসির পক্ষ থেকেও এই কারচুপির অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়া হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ওই ১৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে জানান, গত পাঁচ বছর ধরে তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন পুরোটাই সরকারকে ফেরত দিতে হবে।

4/7: এত বড় ধাক্কা স্বাভাবিকভাবেই অভিযুক্ত গ্রুপ-ডি কর্মীরা সহ্য করতে পারেননি। তাঁরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে এই বরখাস্ত কর্মীদের পক্ষ থেকে যুক্তি তুলে ধরা হয়, তারা পাঁচ বছর ধরে কাজ করেছেন তাই বেতন পেয়েছেন।

আরো পড়ুন 👇👇

💡 ২০২৩ এর মাধ্যমিক পরীক্ষা অনেকটাই আলাদা 

💡 পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় কয়টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (BSK) রয়েছে?

💡 দুয়ারে মাধ্যমিক পরীক্ষা, চাপ বাড়লো প্রাইমারি শিক্ষকদের

5/7: আজ হঠাৎ কেন বেতন ফেরত দিতে যাবেন? কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বরখাস্ত গ্রুপ-ডি কর্মীদের বেতন ফেরতের বিষয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। ফলে এখনই তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হচ্ছে না। কিন্তু দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করার যে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত রায় দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ বা কোনরকম স্থগিতাদেশও জারি করা হয়নি। তাই আইন অনুযায়ী ওই গ্রুপ-ডি কর্মীদের বরখাস্ত হওয়ার নির্দেশ এই মুহূর্তে কার্যকরী আছে।

6/7: ইতিমধ্যেই এসএসসির পক্ষ থেকে ওই ১৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর চাকরির সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে একপ্রকার তাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের অপেক্ষায় না থেকে ওই বরখাস্ত গ্রুপ-ডি কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন।

7/7: অর্থাৎ দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া ওই ১৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মী শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত হবেন কিনা তা নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের হাতে। যদিও আগামী ৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। যদিও সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি কবে হবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। 

বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।

🔥 হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ: Join Now

এগুলিও পড়ুন 👇👇

💡 মাধ্যমিক পাশে ইন্ডিয়ান আর্মিতে প্রচুর গ্রুপ-C কর্মী নিয়োগ

💡 ৩৭ হাজার টাকা বেতনে পশ্চিমবঙ্গে লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি