1/8: সকলে যদি শহরের স্কুলে চাকরি করতে চান, তবে গ্রামের স্কুলে পড়াবেন কে? আজ বলে নয়, বেশ কিছু বছর যাবত এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায়। বিশেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এই সমস্যা প্রকট। এবার এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেছেন, সকলে যদি বদলির আবেদন করে শহরের স্কুলে চলে আসে, তবে গ্রামের স্কুলগুলো তো ফাঁকা হয়ে যাবে!
2/8: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে রাজ্যের শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলা এসে পৌঁছয়। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের বদলি আবেদন নিয়ে যে তথ্য বিচারপতির সামনে দেওয়া হয় তা দেখে তিনি বিস্মিত হয়ে যান। বিচারপতি বসু দেখেন, গ্রামের স্কুলগুলি থেকে শিক্ষকরা লাইন দিয়ে শহর এবং শহরতলীর স্কুলগুলিতে বদলি হতে চাইছে। বহু শিক্ষক গত কয়েক বছরে এইভাবে গ্রামের স্কুল ছেড়ে শহরে চলে এসেছেন।
3/8: তা দেখে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান, গ্রামের স্কুলগুলিতে আদৌ শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত সঠিকভাবে রক্ষিত হচ্ছে কিনা। পাশাপাশি শহরের স্কুলগুলিতে ছাত্র কম থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষক থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে শহর কলকাতার এক উদাহরণ তুলে ধরেন বিচারপতি।
4/8: তিনি বলেন কলকাতার ১১৫ টি স্কুলে ৫০০-র বেশি শিক্ষক আছে। কিন্তু স্কুল প্রতি পড়ুয়ার সংখ্যা ৫০ জনেরও কম! এই প্রসঙ্গে স্কুল শিক্ষা দফতরকে তাঁর প্রশ্ন, অতিরিক্ত শিক্ষকদের কেন গ্রামের স্কুলগুলো বদলি করা হচ্ছে না? গ্রামের দিকে বহু স্কুলে পড়ুয়া থাকলেও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এক্ষেত্রে সামঞ্জস্য আনা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
5/8: এই প্রসঙ্গে কিছুটা ক্ষোভের সুরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, যদি ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত সর্বত্র ঠিক থাকে তাহলে নতুন শিক্ষক নিয়োগের আর প্রয়োজন কি! এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, সরকার আরও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করতে চায়। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে একটি পৃথক মামলার শুনানি চলছে বলেও এজি জানান।
6/8: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুই যে প্রথম এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তা নয়। গ্রামের স্কুল ছেড়ে শিক্ষকদের শহরে চলে আসার প্রবণতা রাজ্যের স্কুলগুলোতে সত্যিই একটা প্রকট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসএসসির মাধ্যমে হাই স্কুলগুলিতে প্রথমে গ্রামে যথেষ্ট পরিমাণে শিক্ষক নিয়োগ হয়। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই বেশিরভাগ শিক্ষক শহর এবং শহরতলীর দিকে ট্রান্সফার নিয়ে চলে আসার চেষ্টা করেন।
7/8: এদিকে শহর ও শহরতলীর সরকারি স্কুলগুলিতে ক্রমশ পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে। এখানকার অভিভাবকরা বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ছেলেমেয়েদের বেশি করে ভর্তি করাচ্ছেন। এদিকে আজও জেলা ও গ্রামাঞ্চলের সরকারি স্কুলগুলিতে উপচে পড়ছে পড়ুয়ার সংখ্যা।
8/8: জেলায় এমন স্কুলও দেখা গিয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা ২০০০, এদিকে শিক্ষক আছে মাত্র সাতজন থেকে আটজন! এর একটা সুষ্ঠু সমাধান প্রয়োজন বলে শিক্ষকমহল দীর্ঘদিন ধরে মনে করছে। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরকে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত এবং শিক্ষকদের বদলি নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট- Click Here