এখনই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব নয়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে বসিয়ে সাফ জানালেন প্রাইমারি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পর্ষদ সভাপতি জানান, যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দিচ্ছে ততক্ষণ চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়।
নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ার জন্য তিনি ঘুরিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের দিকেই আঙুল তোলেন। সব মিলিয়ে পর্ষদ সভাপতি বক্তব্যের পর চূড়ান্ত হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। এর ফলে দীর্ঘদিন পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আশায় খুশি হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
মাসখানেক আগে সেই নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্ব শেষ হয়। তারপরই একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আর তার ফলেই সাড়ে ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া থামিয়ে দিতে বাধ্য হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সেই প্রসঙ্গ টেনে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, চাকরিপ্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছেন, পর্ষদের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই। এই সমস্ত মামলায় পর্ষদকে শুধু পার্টি করা হচ্ছে।
২০১৪ সালের টেট পাশরা এসে বলছেন, ২০১৭ সালকে বাদ দিন স্যার। আবার ২০১৭ সালের টেট পাশরা এসে বলছেন, ২০১৪-দের বাদ দিয়ে আমাদের চাকরি দিন। এই নিয়ে ওরা একে অপরের বিরুদ্ধে আদালতেও চলে গিয়েছে। এই সমস্যা না মিটলে কাউকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল যা বলেছেন সেটা উড়িয়ে দেওয়ার নয়। সত্যিই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ আদালতের আওতাধীন। সেখান থেকে ছাড়পত্র না এলে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব নয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
তবে গোটা বিষয়টি থেকে পর্ষদ সভাপতি যেভাবে নিজের হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন তার সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ মনে করছেন, গোড়া থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যদি স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলত তাহলে এতো জটিলতা দেখা দিত না। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে ইচ্ছাকৃতভাবেই পর্ষদের পক্ষ থেকে নানান জটিলতা তৈরি করে রাখা হয়েছে।
তবে গোটা ঘটনায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করার পর তাঁরা ইন্টারভিউয়ে বসেছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন মামলার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ায় তাঁরা চূড়ান্ত হতাশ।
এদিকে বয়স বেড়ে গেলে আর প্রাথমিক শিক্ষক হওয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি পর্ষদ সভাপতির এই মন্তব্য সেই হতাশা আরও বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল।
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন।
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
👉 ১ বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১২,০০০ গ্রুপ-ডি নিয়োগ! রাজ্যের SSC-কে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে
👉 ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে রেল বিকাশ নিগমে চাকরির বিজ্ঞপ্তি
👉 দীর্ঘ ৭ বছর পর SSC শিক্ষক নিয়োগের আপডেট! রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ বিধি
👉 চলতি ২০২৩ সালেও হচ্ছে টেট পরীক্ষা! কবে বিজ্ঞপ্তি বেরোবে?
👉 উচ্চমাধ্যমিক পাশে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দূরদর্শন কেন্দ্রে অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি
👉 সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউসিং কর্পোরেশনে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ