1/4: রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় কম পুলিশকর্মী থাকায় ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেই সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Colunteer) ও ভিলেজ পুলিশ (Village Police) পদ তৈরি করে। প্রথমে শহরাঞ্চলের থানাগুলিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার নেওয়া হলেও পরবর্তীতে রাজ্যের প্রতিটি থানাতেই সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়।
2/4: সরাসরি সরকারি পে স্কেলের চাকরির না হয়েও বর্তমানে রাজ্যের বেকারদের অন্যতম কর্মসংস্থানের জায়গা এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সাহায্য করাই এদের কাজ। তবে বর্তমানে রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশে কর্মী সংখ্যা অনেকটা কম হওয়ায় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধী ধরতে অফিসারদের সঙ্গে অভিযানে যাওয়া সবকিছুতেই এখন এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দেখা যায়।
3/4: তবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও কম নয়। বিভিন্ন সময় পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়ে গাড়ি থেকে তোলা আদায় করা, এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার করার মতো অভিযোগ উঠেছে এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। মূলত স্থানীয় বাসিন্দারাই এলাকার থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করায় তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ বহুদিনের।
4/4: রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পুলিশের প্রাক্তন কর্তারাও নানান সময় অভিযোগ করেছেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করার ফলে সমস্যার সমাধানের বদলে তা আরও জটিল হয়ে উঠছে। গত বেশ কয়েক মাস ধরে কলকাতার রাস্তাঘাটে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য এক গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধানের জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করল লালবাজার।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার?
1/5: কলকাতা রাজ্যের রাজধানী। এখানে মন্ত্রী-আমলা থেকে শুরু করে গুচ্ছের ভিআইপি বসবাস করেন। প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তেই শহরের কোনও না কোনও রাস্তা দিয়ে ভিআইপিদের গাড়ি চলে যায়। ফলে কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা মুখের কথা নয়। তাই সিগন্যাল ব্যবস্থা ছাড়াও ভিআইপিদের ক্ষেত্রে দ্রুত নির্ঝঞ্ঝাটে গাড়ি পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশের হাতে ওয়াকিটকি থাকে।
2/5: এই ওয়াকিটকির মাধ্যমে ট্রাফিক পুলিশের নিকটবর্তী দুটি আউটপোষ্টের মধ্যে রাস্তা বা যানবাহনের পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত বার্তা চলাচল করা হয়। এদিকে সার্জেন্ট বা ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলদের পাশাপাশি দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও ওয়াকিটকি দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ।
3/5: কিন্তু অভিযোগ ওঠে, উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে সঠিকভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে পারছেন না সিভিক ভলেন্টিয়াররা। উল্টে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা চলাচলের সময় ওয়াকিটকিতে তাদের থেকে আপত্তিকর নানান শব্দ বা লঘু কথাবার্তা ভেসে আসছে।
4/5: এই সমস্যার জেরে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়ছিলেন লালবাজারের ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। সেখানেই তিনি নির্দেশ দেন, এবার থেকে আর কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ারের হাতে ওয়াকিটকি দেওয়া হবে না।
5/5: যে সিভিক ভলেন্টিয়াররা কলকাতার রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিযুক্ত থাকবেন তাঁদের এবার থেকে ওয়াকিটকি ছাড়াই কাজ করতে হবে। এর ফলে ট্রাফিক গার্ডগুলিতে থাকা অতিরিক্ত ওয়াকিটকি দ্রুত লালবাজারের কন্ট্রোলরুমে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে কলকাতা পুলিশের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো গুরুত্বপূর্ন আপডেট-Click Here