করোনা মহামারীর জন্য গত দুটো বছর ঠিক করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু এই বছর সব আবার আগের মতোই হচ্ছে। ফলে টেস্ট পরীক্ষাও হচ্ছে। গত ১৭ নভেম্বর থেকে টেস্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। তা এখন শেষের পথে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে টেস্ট পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক। বিশেষ করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার উদ্বেগজনকভাবে বেশি বলে জানা গিয়েছে।
টেস্টে কেন এই অনুপস্থিতি?
1/4: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় অনুপস্থিতির এই বাড়বাড়ন্তের কারণ হিসেবে বেশ কতগুলো বিষয় উঠে আসছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একাংশের মতে করোনার ধাক্কায় গ্রাম বাংলার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সংসারের প্রয়োজনে অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। এদের আবার একটা বড় অংশ ভিন রাজ্যে কাজে চলে গিয়েছে। ফলে এই স্কুল-ছুটরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় বসেনি।
2/4: তবে টেস্ট পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হারের এই বাড়বাড়ন্ত শুধুমাত্র একটি কারণে হয়েছে বলে মনে করেন না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আরেকটি অংশ। তাঁদের মতে, করোনার কারণে গত দু’বছর সবাই মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে। সরকারি নিয়ম মেনে তাদের মধ্যে যারাই চেয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হতে পেরেছে। এদের মধ্যে একটি অংশ মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে, কিন্তু পড়াশোনায় বিশেষ মন নেই। ফলে টেস্ট পরীক্ষায যখন আয়োজিত হচ্ছে তখন নিজেদের অবস্থা বুঝতে পেরেই ওই পরীক্ষার্থীরা আর পরীক্ষায় বসেনি।
3/4: আর এখানেই এক গুরুতর সমস্যা লুকিয়ে আছে বলে শিক্ষকদের ওই অংশটির মত। তাঁদের মতে, রাজ্য সরকার দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়া প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। ওই টাকার লোভে পড়াশোনায় মন না থাকা একদল ছেলেমেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়। ইতিমধ্যেই সেই ট্যাবের টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে। তাই পড়াশোনায় মন না থাকা ওই ছেলেমেয়েরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্ট শুরু হলেও আর পরীক্ষা দিতে আসেনি।
4/4: এদিকে শিক্ষকদের একাংশের পাশাপাশি অভিভাবকদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, জেলায় ছেলেমেয়েদের স্কুল-ছুট হওয়ার প্রধান কারণ উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি। এর ফলে জেলার বহু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলি নিয়ে শহরে চলে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ফলে জেলার প্রচুর স্কুলে প্রয়োজনীয় সংখ্যার থেকে অনেক কম শিক্ষক আছে। যার ফলে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। তাই স্কুল-ছুটের সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ। যার প্রভাব টেস্ট পরীক্ষায় পড়েছে বলে মনে করেছেন অনেকেই।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 শুরু হলো ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প, ব্যাংকে ঢুকবে ১০ হাজার
🎯 কৃষি এবং কিষান কল্যান দপ্তরে চাকরি
🎯 রাজ্যের রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে গ্রুপ-D নিয়োগ