1/8: রাজ্যের স্কুলগুলোয় হঠাৎ করে বেশ কিছু শিক্ষক আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই গোটা ঘটনাটা ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি প্রথমে ১৮৩ জন ও পরে ৪০ জন ‘অযোগ্য‘ শিক্ষকের তালিকা প্রকাশের পর। প্রথমে প্রকাশিত ১৮৩ জন অযোগ্য শিক্ষক মেধা তালিকা কারচুপির মাধ্যমে চাকরির সুপারিশ পেয়েছিলেন বলে এসএসসি জানিয়েছে।
2/8: তবে পরের ৪০ জন অযোগ্য শিক্ষকের তালিকার বিষয়টি আরও গুরুতর। পরীক্ষার উত্তরপত্র অর্থাৎ ওএমআর শিটে কারচুপির মাধ্যমে ওই শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছেন বলে সিবিআই তাদের তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই ৪০ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে। তারপর থেকেই মোট ২২৩ জন শিক্ষক স্কুলগুলিতে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
3/8: মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ দিকে দিকে এমন অযোগ্য শিক্ষকদের কথা জানা যাচ্ছে। এসএসসি তাদের ওয়েবসাইটে এই অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করায় বিষয়টি এমনিতেও আর লুকনো নেই।
4/8: অযোগ্য হিসেবে যে শিক্ষকদের নাম তালিকায় আছে তাদের সহকর্মীদের পাশাপাশি স্কুলগুলোর ছেলেমেয়েরাও বিষয়টি জেনে গিয়েছে। এই নিয়ে হাসাহাসি যেমন শুরু হয়েছে তেমনই জানা গিয়েছে এই তালিকায় নাম থাকা অনেকেই মোটেও পড়াতে পারতেন না! তাঁরা ‘কেমন শিক্ষক’ তা নিয়ে গোড়া থেকেই সন্দেহ ছিল সকলের। তবুও চাকরি পাওয়ায় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
5/8: এই যেমন রিঙ্কু দেবনাথ। পূর্বস্থলীর রাজাপুর-ভাতশালা ধীরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠের ইতিহাসের শিক্ষিকা তিনি। ওএমআর শিট কারচুপির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকায় নাম আছে তাঁর। গত মঙ্গলবার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই আর স্কুলে আসছেন না এই শিক্ষিকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল রিঙ্কু নামেই শিক্ষিকা ছিলেন, তিনি কিছুই পড়াতে পারতেন না। তাঁর পড়ানো দেখে হাসাহাসি করত স্কুলের ছেলে-মেয়েরা।
6/8: পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ার বিজপুর নেতাজি শিক্ষা নিকেতনের বাংলার শিক্ষিকার সঙ্গীতা হাতি। গত মঙ্গলবার এসএসসি যে ৪০ জন অযোগ্য শিক্ষকের তালিকা ঘোষণা করেছে সেখানে দু’নম্বরের নাম আছে এই শিক্ষিকার। তালিকা প্রকাশের পর বুধবার থেকে যথারীতি তিনি আর স্কুলে আসছেন না। কেন আসছেন না, কী কারণ তা কাউকে জানাননি ও শিক্ষিকা।
7/8: তবে এটা শুধু এই দু-একজনের বিষয় নয়। ওই তালিকা দুটিতে নাম থাকা যারাই শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে কর্মরত ছিলেন সকলেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষাবিদদের মতে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। কারণ চুরি করে চাকরি পেয়েছেন এই বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর আর কারোর পক্ষেই স্বাভাবিকভাবে স্কুলে এসে ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। তাতে একদিকে যেমন প্রবল কটাক্ষ ও উপহাসের সম্মুখীন হতে হবে, তেমনই আইনি জটিলতা আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে বেআইনি শিক্ষকের তালিকায় নাম থাকারা স্বেচ্ছায় নিজে থেকে অন্তরালে চলে যাচ্ছেন।
8/8: এদিকে অযোগ্য শিক্ষকের তালিকায় নাম থাকায় লজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এমন নজিরও আছে এই বাংলায়। নন্দীগ্রামের এক স্কুল শিক্ষিকা তেমনই কাণ্ড করে বসেছেন বলে তাঁর পরিজনদের দাবি।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 এই সরকারের আমলে ২১ হাজার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি
🎯 রাজ্যে লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর চাকরি
🎯 টেট পরীক্ষার ১ দিন আগে স্কুলে মোবাইল রেখে গেল যুবকরা