বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ‘মসিহা’ হয়ে ওঠা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর হুঁশিয়ারিতে তবে কী কাজ হল? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলোতে বহু শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা আর আসছেন না বলে শোনা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বিচার বিভাগের রোষাণলে দগ্ধ হওয়ার আগেই স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াচ্ছেন অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ারা?
কেন অনেক শিক্ষক আর স্কুলে যাচ্ছেন না?
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্যকে সামনে তুলে ধরতেই হবে। দুর্গাপুজো শুরুর দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন কড়া হুঁশিয়ারি দেন এই বিচারপতি। অবৈধ উপায়ে চাকরিত যারা স্কুলগুলোতে নিয়মিত যাচ্ছেন, বেতন নিচ্ছেন সেই সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ধমক দিয়ে তিনি বলেন, যারা ঘুষ দিয়ে বেআইনি উপায়ে চাকরি পেয়েছে তারা যেন স্বেচ্ছায় কাজ থেকে পদত্যাগ করে।
না হলে আদালত তাদেরকে চাকরি থেকে তো বরখাস্ত তো করবেই, সেইসঙ্গে যাতে আর কোনদিন কোনরকম সরকারি চাকরি না পায় তার ব্যবস্থাও করবে বলেও বিচারপতি জানান। এর জন্য তিনি সময়সীমাও বেঁধে দেন। নভেম্বর মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অবৈধ উপায় চাকরি পাওয়াদের কাজ থেকে স্বেচ্ছায় স্টাফা দিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
হুঁশিয়ারির Action এর Reaction
বিভিন্ন জেলা থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দিষ্ট বক্তব্যের পর যারা অসৎ পথে স্কুলগুলিতে চাকরি পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তারা অনেকেই দুর্গা পুজোর আগে থেকেই স্কুলে আসা বন্ধ করেন। পুজো মিটে যাওয়ার পরেও অনেককে আর স্কুলের কাজে দেখা যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে চাকরি যাবে বুঝে গিয়েই শাস্তির মাত্রা যাতে কম হয় তার জন্য স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন।
শিক্ষকরা স্কুল ছাড়ায় শিক্ষক পদে শূন্যপদ সৃষ্টি
এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তবে সামনের বার্ষিক পরীক্ষার আগে স্কুলগুলি বেশ সঙ্কটে পড়তে পারে। কারণ এতো তাড়াতাড়ি বিকল্প শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী খুঁজে পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। এসএসসির তথ্য বলছে, স্কুলগুলির গ্রুপ সি-তে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ৩,৪৮১ জনের। আর গ্রুপ ডি-তে বেআইনি নিয়োগের সংখ্যা ২,৮২৩ জনের। এছাড়াও বিপুলসংখ্যক শিক্ষক নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরে বেইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে বলে এসএসসি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে।
মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলায় চাকরি ছাড়ছেন শিক্ষকরা
দুই দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় স্কুলগুলিতে সংশয়ের তালিকায় থাকা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি। তুলনায় রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতে সংশয়বিদ্ধ শিক্ষকরা এখনও স্কুলে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বার্ষিক পরীক্ষার আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের চিন্তা বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
👍 চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 ৩ কোটি টাকা নিয়ে ৪৪ জনকে দেওয়া হয়েছে চাকরি
🎯 রাজ্যে বিভিন্ন শূন্যপদে শিশু সুরক্ষা ইউনিটে কর্মী নিয়োগ
🎯 ঘুমানোর জন্য চাকরি, বেতন ১ লক্ষ টাকা