1/8: গত 11 মে, বৃহস্পতিবার ‘উৎকর্ষ বাংলা’ পর্যালোচনা সভা ছিল। সেই সভাতে রাজ্যের কর্মসংস্থানের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বেশ কিছু ‘অভিনব আইডিয়া’ র কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে একটি হল, ইঞ্জিনিয়ারদের মতো ডাক্তারদের জন্যেও ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা।
2/8: শুধু বক্তব্য পেশ করেই ক্ষান্ত থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী, এর জন্য প্রয়োজনীয় কমিটি গঠনের নির্দেশও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত, রাজ্যে ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরি করা সম্ভব কিনা, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে 16 সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল গড়া হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
3/8: এই 16 সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ দলটির কাজ হবে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত, ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করলে তা ভবিষ্যতে কতটা ফলপ্রসূ হবে তা খতিয়ে দেখা। এরই সাথে, ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরি হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোনও আপোষ করতে হবে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।
4/8: তবে কেবলমাত্র ডিপ্লোমা ডাক্তারের প্রস্তাবেই থেমে থাকেননি তিনি। এরই সাথে তিনি রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে ডাক্তার ও নার্সের অভাব পূরণের জন্য বিশেষ প্রস্তাব দেন। সব জেলা মিলিয়ে আরও 100 নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খোলার প্রস্তাব দেন তিনি। তার মতে, ‘নার্সদের ক্ষেত্রে ব্যাণ্ডেজ বাঁধা, স্যালাইন দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে 15 দিনের ট্রেনিংই যথেষ্ট।’
5/8: তবে, উৎকর্ষ বাংলার সভাতে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রস্তাব পেশের পরে সারা রাজ্য জুড়েই তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবের বিরোধিতায় একে একে বক্তব্য পেশ করেছে রাজ্যের বিরোধীদলগুলি।
6/8: এই প্রসঙ্গে, রাজ্যের BJP মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ভাবনা স্তরেই বিষয়টা থেকে যাবে, বাস্তবায়িত করার সময় আর এই সরকার পাবে না। বঙ্গে শিক্ষার চরম অবক্ষয় ঘটেছে, মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছেন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। সবাই দক্ষিণ ভারত অভিমুখে ছুটছেন। এই ধরণের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চরম রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
7/8: অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে ভালো ভাবে গ্রহণ করেনি চিকিৎসক মহলও। তাদের ধারণা, ডিপ্লোমার মাধ্যমে সুযোগ্য চিকিৎসক তৈরি হবে না। এমনকি এর ফলে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রেও বৈষম্য থেকে যেতে পারে।
8/8: এই বিষয়ে, রাজ্যের এক চিকিৎসকের বক্তব্য, “আমরা কোনওভাবেই অনুমোদন করছি না। এর ফলে দ্বিতীয় শ্রেণির ডাক্তার তৈরি হবে। যাদের পয়সা আছে, শহরের সুবিধা আছে, তাঁরা কোয়ালিফায়েড ডাক্তার দেখানোর সুযোগ পাবে। আর যাঁদের পয়সা নেই, গ্রামে গঞ্জে থাকেন, প্রাইভেটে যাওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁরা হাতুড়ে-কোয়াকের মতো এই অর্ধশিক্ষিত ডাক্তারদের হাতে পড়বে। এটা সমর্থনযোগ্য নয়।”
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।
আরো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট 👇👇
- আম্বানি স্কলারশিপে আবেদন করলে মিলবে 41 হাজার টাকা
- প্রাইমারির ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল, পাল্টা চ্যালেঞ্জ সরকারের
- কলকাতা পুলিশ কনস্টেবল প্রিলি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হল