1/6: কী দিনকাল পড়ল! যে অন্যায় করছে সেই আবার পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এদিকে নিয়ম মেনে শাস্তি দিয়েও মুখ কাঁচুমাচু করে স্কুলের মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে শিক্ষকদের। সম্প্রতি এমনই ঘটনা দেখা গেল নদিয়ার তেহট্টে। ক্লাস শুরুর আগে প্রার্থনা এবং ক্লাসের মধ্যে মোবাইল নিয়ে সেলফি তোলা, হইহট্টগোল করায় প্রধান শিক্ষক ফোনগুলি কেড়ে নিয়েছিলেন। জানান ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা এলে তবেই তিনি ফোনগুলো ফেরত দেবেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ দ্বাদশ শ্রেণির গুণধর পড়ুয়ারা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়!
2/6: তেহট্টের বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ওটাই ছিল শেষ ক্লাসের দিন। এমনিতেই স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা নিষিদ্ধ। কিন্তু শেষ ক্লাসের দিন হওয়ায় প্রধান শিক্ষক ছাড় দিয়েছিলেন। তবে পইপই করে বলে দিয়েছিলেন সেই মোবাইল নিয়ম মেনেই ব্যবহার করতে হবে। তা যেন স্কুলের পঠন-পাঠনে কোনওরকম ক্ষতি না করে।
3/6: কিন্তু প্রার্থনার সময় থেকেই মোবাইল নিয়ে নিতে ওঠে ছেলেমেয়েরা। পরে শিক্ষক রোল কল করার জন্য ক্লাসে গেলেও তারা তাঁর দিকে খেয়াল না করে নিজেদের মধ্যে সেলফি তোলা, বেঞ্চের উপর উঠে পোজ দেওয়ায় ব্যস্ত থাকে। ক্ষুব্ধ ক্লাস টিচার গোটা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি এসে প্রায় ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের ক্লাস রুম থেকে বার করে দেন।
4/6: এরপরই প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া স্কুলের প্রধান দরজায় তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। গোটা ঘটনা জানতে পেরে ছুটে আসেন অভিভাবকরা। এসে হাজির হয় স্থানীয় থানার পুলিশ। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও এসে পৌঁছন। স্কুল কমিটির সভাপতি নিতাইচন্দ্র বিশ্বাস প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর পাল সহ অভিভাবক ও অভিযুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীরা মুচলেকা দিয়ে নিঃস্বার্থ ক্ষমাপ্রার্থনা করলে তাদের মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
5/6: মোবাইল নিয়ে এই ঘটনায় স্তম্ভিত শিক্ষক মহল। তাঁদের সবচেয়ে বেশি করে ভাবাচ্ছে অন্যায় করেও ছেলেমেয়েদের অপরাধবোধ না থাকার বিষয়টি। উল্টে তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে স্কুলের গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখানোয় চিন্তিত শিক্ষা জগৎ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি আগামী দিনে ইচ্ছেমতো যা কিছু করাটাই ভবিষ্যৎ হতে চলেছে?
6/6: তেহট্টের বেতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক যা করার স্কুলের নিয়ম মেনেই পদক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক দিতে চলা ছেলেমেয়েগুলোর কাছে প্রধান শিক্ষকের এই পদক্ষেপ বিন্দুমাত্র ভীতিসঞ্চার করেনি। উল্টে পড়াশোনার থেকে তাদের কাছে বেশি জরুরি হয়ে উঠেছিল মোবাইলটা যে কোনও উপায়ে ফেরত পাওয়াটা! এর আগেও নানান ঘটনায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে স্মার্টফোন এক বড় অংশের ছেলেমেয়েদের ভেতর থেকে ফোঁপড়া করে দিচ্ছে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 প্রাইমারি টেটের প্রশ্ন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত পর্ষদের
🎯 রাজ্যের একটি ইউনিভার্সিটিতে লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি
🎯 রাজ্যের নবান্ন দপ্তরে চাকরি- Apply Now!