বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মাসখানেক আগে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও খড়্গপুরে একলপ্তে প্রায় ২০ হাজার ছেলেমেয়ের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বহু বিতর্কও হয়েছিল। প্রায় সেই একই ‘স্টাইলে’ ‘রোজগার মেলা’ (Rojgar Mela) করে ৭৫ হাজার বেকারের হাতে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির নিয়োগ পত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রোজগার মেলা কী?
দেশে ক্রমশ বেকারত্ব বাড়ছে। নোটবন্দির পর থেকেই বেহাল অবস্থা ভারতীয় অর্থনীতির। করোনা মহামারি এসে সেই বিষয়টিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। নতুন চাকরি তো দূরের কথা, উল্টে গত আড়াই বছরে কাজ হারিয়েছে বহু। এদিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারও পড়তির দিকে। ইউরোপে মন্দা আছড়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি মোটেও সুবিধের নয়। কিন্তু ২০১৪ সালে বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে।
সেই ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বেকারত্ব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান জরুরি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা গত ৮ বছরে বিভিন্ন দফতর মিলিয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি পদ তুলে দিয়েছে। ফলে সরকারি ক্ষেত্রেও চাকরির সুযোগ কমেছে। এইসব অভিযোগ সামলে সদর্থক বার্তা দিতেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর ‘রোজগার মেলা’-এর পরিকল্পনা করেছে।
৭৫ হাজার জনকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র
গত শনিবার, অর্থাৎ ২২ অক্টোবর এই রোজগার মেলার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ৭৫ হাজার জনকে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। সেইসঙ্গে আরও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে আরও ১০ লক্ষ নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন।
নরেন্দ্র মোদী যে ৭৫ হাজার চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন, তাঁদের সকলকেই কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতরের গেজেটেড ও নন-গেজেটেড অফিসার পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের বেকারি সমস্যার সমাধান অনেকটাই মিটবে বলে দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। নতুন নিয়োগও খুব তাড়াতাড়ি সেরে ফেলার প্রতিশ্রুতি মিলেছে। নিয়োগপত্র পাওয়াদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বেকাররাও আছে।
ঘটনা হল, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির এই নিয়োগ নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই বিভিন্ন দফতরে নিয়ম মেনে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হয়। তবে সেই নিয়োগের পরিমাণ ক্রমশ কমছিল। তাছাড়া করোনার জন্য গত আড়াই বছর সব নিয়োগ প্রক্রিয়াও থমকে ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীর রোজগার মেলার মাধ্যমে কেন্দ্রের চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু হল বলা চলে।
যদিও দেশের বিরোধীরা এই রোজগার মেলাকে আইওয়াশ বলে দাবি করেছে। তাদের মতে স্বাভাবিক একটা বিষয়কে ইভেন্টের রূপ দেওয়ায় নরেন্দ্র মোদী দক্ষ। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই রোজগার মেলার বদলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে যে পদগুলো তুলে দেওয়া হয়েছে তা আবার ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
👍চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 শিক্ষকদের চাকরির বেতন ফেরানোর জন্য সরকারি নির্দেশ
🎯 IBM সামার ইন্টার্নশিপ ২০২৩ এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলো
🎯 পশ্চিমবঙ্গে টাকা ছাপানোর কাজে চাকরি