1/8: কর্মী গণনা নবান্নের। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি ঘটনা। রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে কোন দফতরে কতজন কর্মী কাজ করছেন তা জানতে চেয়ে নবান্নের পক্ষ থেকে চিঠি গিয়েছে প্রতিটি মন্ত্রকের অধীনে থাকা বিভিন্ন দফতরে। হঠাৎ করে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্থ স্তর থেকে কেন কর্মীর সংখ্যা অনুসন্ধানের কাজ শুরু হল তা নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে।
2/8: চলতি মাসের শুরুতেই রাজ্যের কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের প্রতিটি মন্ত্রক ও দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের কার অধীনে কতজন কর্মী আছে তার বিস্তারিত হিসেব চাওয়া হয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ গিয়েছে।
3/8: সেখানে প্রতিটি দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে তাদের অধীনে নিম্নপদস্থ আঞ্চলিক অ্যাসিস্ট্যান্ট, উচ্চপদস্থ আঞ্চলিক অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেকশন অফিসার ও প্রধান অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কতজন কর্মরত সেই হিসেবে জানাতে হবে। মূলত এই চার শ্রেণির সরকারি কর্মীর সংখ্যাই ওই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে। সেই ফরম্যাট মেনেই প্রতিটি দফতরকে তার অধীনে কর্মীর সংখ্যা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক দফতর। জুন মাসের শেষ পর্যন্ত যে কর্মীরা কর্মরত ছিলেন তাঁদের সকলের হিসেব চাওয়া হয়েছে।
4/8: বছর শেষ হলেই লোকসভার নির্বাচন। তার আগে নবান্নের শীর্ষস্থর থেকে রাজ্য প্রশাসনের প্রতিটি দফতরের কর্মী সংখ্যা জানতে চাওয়ায় এই উদ্যোগ বেশ চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। অনেকে মনে করছেন লোকসভা ভোটের আগে নতুন করে বিপুল সরকারি কর্মী নিয়োগ করবে রাজ্য প্রশাসন।
5/8: সেই কারণেই কোন দফতরে কত কর্মী কর্মরত, কত শূন্য পদ আছে তার বিস্তারিত হিসেব চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে।
6/8: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো কোন দফতরে কত কর্মী নিয়োগ করা হবে-
- প্রাথমিক শিক্ষক: ১১,০০০ জন
- উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষক: ১৪,৫০০ জন
- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক: ২,২০০ জন
- পুলিশের বিভিন্ন পদে: ২০,০০০ জন
- আবগারি কনস্টেবল: ৩,০০০ জন
- গ্রুপ ডি: ১২,০০০ জন
- গ্রুপ সি: ৩,০০০ জন
- চিকিৎসক: ২,০০০ জন
- নার্স: ৭,০০০ জন
- কমিনিউটি হেলথ ওয়ার্কার: ২,০০০ জন
- আশা কর্মী: ৭,০০০ জন
- অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী: ৯,৪৯৩ জন
- অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পার: ১৩,৯২৬ জন
- রাজ্য সরকারের অন্যান্য পদে: প্রায় ১৭,৮০০ জন
7/8: তবে রাজ্য সরকারের আরেকটি অংশের ধারণা, কর্মী সংখ্যার এই হিসেব চাওয়ার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকার ডিএ মামলার গভীর সম্পর্ক আছে। আসলে কর্মচারীদের দাবি মতো অর্থাৎ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হলে মোট কতজন রাজ্য সরকারি কর্মীকে টাকা দিতে হবে এবং কত টাকা খরচ হবে সেটা বোঝার জন্যই এই কর্মী শুমারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও একটি নির্দিষ্ট কারণে সীলমোহর লাগানো হয়নি। কার্যত গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে নবান্ন।
8/8: যদিও চাকরিপ্রার্থীদের আশা, চলতি বছরের শেষের দিকেই রাজ্যের বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যে বেকারত্বের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন।
গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলি (Important Links)
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
- রাজ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরে কর্মী নিয়োগ
- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মী নিয়োগ
- রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে গ্রুপ-C পদে চাকরি
- জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরে চাকরি
- প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের নিয়ে মুখ খুললেন গৌতম পাল