তৃণমূল জামানার ৫৯ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকদের নতুন বিপদ! আদালতের নির্দেশে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ

New danger for primary teachers of the Trinamool era

নিয়োগ দুর্নীতির ফলে বঞ্চিত চাকপ্রার্থীদের বিচার পাওয়ার পথ আরেকটু সুগম হল। আদালতের নির্দেশে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তৃণমূল জামানায় রাজ্যে নিয়োগ হ‌ওয়া ৫৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। আর তা হলেই প্রকৃত যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন কিনা তা হাতে নাতে ধরে ফেলা যাবে।

বিগত ১০ বছরে যারা নিজেদের যোগ্যতায় প্রাইমারি চাকরি পেয়েছে তাদের জন্য কোনো চিন্তার কারন নেই। তবে যেসমস্ত ব্যাক্তিরা ঘুষ দিয়ে প্রাইমারি স্কুলের চাকরি পেয়েছেন তাদের জন্য সমস্যা আরো জোড়ালো হল।

New danger for primary teachers of the Trinamool era

আদালত ঠিক কী রায় দিয়েছে?

এস‌এসসি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের মতোই প্রাথমিকেও শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ ওঠে, এস‌এসসির থেকেও প্রাথমিকে দুর্নীতির বহর অনেক বেশি।

সেই মামলাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার নির্দেশ দেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ২০১৬ ও ২০২০ সাল মিলিয়ে নিযুক্ত প্রায় ৫৯ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের প্রাপ্ত নম্বর বিভাজন সহ মেধা তালিকা পর্ষদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। 

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়েছিল। প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী ফর্ম ফিল আপ করলেও পরীক্ষা দিয়েছিল ২১ লক্ষ। পরে ২০১৬ ও ২০২০ সালে দু’দফায় প্রায় ৫৯ হাজার জনকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়। এই চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ে কোথায় কত নম্বর পেয়েছেন, কার যোগ্যতা কত, সেই সব কিছু মেধা তালিকায় উল্লেখ করতে হবে পর্ষদকে।

মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন অভিযোগ ওঠে, লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ে বেশি নম্বর পাওয়া বহু চাকরিপ্রার্থীকে বঞ্চিত করে পিছনে থাকাদের শিক্ষক পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তে এই অভিযোগের স্বপক্ষে সিবিআই কিছু প্রমাণ পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে কাদের নিয়োগ ভুয়ো আর কারা যোগ্য হয়েও বঞ্চিত তা নির্ধারণ করতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।

কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি গৌতম পালের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এসে হাজির হল। এমনিতেই দুর্গাপুজো মিটলেই টেট পরীক্ষা নিতে হবে। তার উপর ৫৯ হাজার শিক্ষকের নম্বর সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করা মুখের কথা নয়।

এদিকে তাঁকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।

👍 Daily Job আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান

🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇

🎯 এই বছরেই হচ্ছে প্রাইমারি টেট 2022

🎯 ভারতের ওয়েস্টার্ন রেলে গ্রুপ-C কর্মী নিয়োগ

🎯 রাজ্যের স্কুলগুলিতে গ্রুপ-D গ্রুপ-C পদে নিয়োগ