তাঁর সিদ্ধান্ত যে আগেও ঠিক ছিল তা ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ায় এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিলেন।
এর মধ্যে একজন বিচারপতির কাছেই তাঁর নিয়োগের বৈধতা প্রমাণ করায় তাঁর চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর চাকরি যাওয়া বাকি ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সর্বোচ্চ আদালত জানায় অভিযুক্ত শিক্ষকদেরকেও নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ করে দিতে হবে হাইকোর্টকে।
সেই মত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নতুন করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের আর্জি শোনেন। এবার সবকিছু খতিয়ে দেখার পর তিনি ১৪৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহাল রাখলেন।
কাদের কাদের চাকরি গেল?
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাংলায় যে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে তা সকলের জানা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিচারপতি ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পাল্টা ওই শিক্ষকরা সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান, তাঁদের বক্তব্য না শুনেই রায় দিয়েছে কলকাতায় হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় ওই শিক্ষকদের আবেদনের নিষ্পত্তি কলকাতা হাইকোর্টেই হবে। সেই সঙ্গে জানায়, যতই বেআইনি নিয়োগ হোক অভিযুক্ত এই শিক্ষকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত বলে, ওই শিক্ষকদেরই প্রমাণ করতে হবে যে তাঁদের নিয়োগ বৈধ।
২৬৮ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের চাকরি বাতিল
সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশ পাওয়ার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ২৬৮ জন শিক্ষককে পৃথক পৃথক হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টে সেই হলফনামা জমা পড়ার পর বেশ কিছুদিন ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সবকিছু খতিয়ে দেখার হয়। তার ভিত্তিতেই বুধবার ২৬৮ জনের মধ্য থেকে ১৪৬ জন শিক্ষকের নিয়োগ মামলার চূড়ান্ত শুনানি ছিল।
সেই শুনানির পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের জানান, এর মধ্যে ১৪৩ জন শিক্ষকই বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে। তাঁরা নিজেদের নিয়োগের বৈধতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল থাকছে। বাকি তিনজনের মধ্যে আরও একজন শিক্ষকের নথি দ্বিতীয়বার ভাল করে খুঁটিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর বাকি দু’জন শিক্ষক যেহেতু ভুল প্রশ্নের কারণে অতিরিক্ত নম্বর পেয়েছেন, তাই তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
বাকী ১২২ জন জনের শুনানী খুব শীঘ্র
যে ১৪৩ জন শিক্ষকের চাকরি খারিজ হল অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র নরম মনোভাব দেখান চলবে না। সুত্রের খবর, বাকি ১২২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগের চূড়ান্ত শুনানিও খুব দ্রুত হবে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরি ও কাজের আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট-Click Here