1/9: ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা (TET Exam) হয়। সেই সময় পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছিলেন, এক মাসের মধ্যে তাঁরা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করবেন। যদিও তা হয়নি। শেষে ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি টেটের ফল প্রকাশিত হয়।
2/9: তাতে দেখা যায় প্রায় দেড় লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পাশ করেছেন। বের করা হয় পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের মেধা তালিকাও। কিন্তু তারপর ৬ মাস কেটে গিয়েছে, এখনও নিয়োগের কোনও নাম গন্ধ নেই। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে টেট উত্তীর্ণদের।
3/9: অথচ গতবছর টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন ফলপ্রকাশের পর দ্রুত নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। পাশাপাশি প্রতিবছর দু’বার করে টেট পরীক্ষা হবে বলেও তিনি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার কোনটাই হয়নি। এদিকে গত বছর সাড়ে ১১ হাজার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোলেও সেটাও এখন বিশ বাঁও জলে।
4/9: সবমিলিয়ে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষোভ যখন বাড়ছে ঠিক সেই সময় মুখ খুললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। জানালেন চলতি বছরে আরও একটা টেট পরীক্ষা হতে পারে। তবে চলতি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া মিটলে হবেই নতুন টেট পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে বলে সাবধানবাণী গেয়ে রেখেছেন তিনি।
5/9: পাশাপাশি পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, তিনি বছরে দু’বার টেট পরীক্ষা নিতে চাইলেও এই বিষয়ে সরকারের ছাড়পত্র দরকার। কারণ পর্ষদ পরীক্ষা নিলেও বাদবাকি প্রশাসনিক পরিকাঠামোর যোগান দেয় রাজ্য সরকার, তাই সব বিষয়টা তাঁর হাতে নেই।
6/9: উল্লেখ্য ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তার বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে। সেই একই সময়ে রাজ্যে প্রায় ১১ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের হয়। কিন্তু নানান নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা, পর্ষদের ঢিলেমি এবং মামলার কারণে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।
7/9: চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ পর্ব শেষ হওয়ার পরই বিষয়টি থমকে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের জেরে। এক্ষুণি প্রাথমিক শিক্ষক পদে কোনও নিয়োগ হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সাড়ে এগারো হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
8/9: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কুহেলি ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। কারণ ডিএলএড (D.El.Ed) এবং ডিএড (D.Ed) ছাড়া আর কেউ প্রাথমিক শিক্ষকতা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। সেই সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এই অচলাবস্থা।
9/9: বর্তমান অচলাবস্থা, টেট পরীক্ষা না হওয়া, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ার জন্য চাকরিপ্রার্থীরা পর্ষদের দিকেই আঙুল তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, পর্ষদের সদিচ্ছার অভাবেই যাবতীয় জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পর্ষদ সভাপতির মন্তব্য বুঝিয়ে দিল এক্ষুণি টেট পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার বিশেষ একটা সম্ভাবনা নেই।
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন।
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
👉 রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরে ৭৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের আপডেট
👉 রাজ্যে নতুন করে প্রচুর সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ! বাড়ানো হচ্ছে বয়সসীমা
👉 হিন্দুস্থান কপার লিমিটেডে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
👉 সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউস কর্পোরেশনে চাকরি
👉 রেলের টিকিট কালেক্টর কিভাবে হওয়া যায়?