1/8: একজন-দু’জন নয়, রাজ্যের ২৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি নিয়ে বড় সংশয় তৈরি হল। যা পরিস্থিতি তাতে ভবিষ্যতে তাঁদের চাকরি চলে যেতেই পারে! আবারও সেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হলেন। এই ২৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি কীভাবে হয়েছে তা জানতে নতুন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। আর তাতেই আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছে বাংলার প্রাথমিক শিক্ষকদের অনেকেই।
2/8: সত্যি কি রাজ্যের ২৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি চলে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। বস্তুত এই সংক্রান্ত বিতর্কের পরিণতি কোন দিকে যাবে এভাবে সেটাও এখন বলার মত পরিস্থিতি আসেনি। তবে এটা ঠিক, ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যাদের চাকরিতে নিয়োগ করেছিলেন তাদের মধ্যে ২৫ হাজার কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।
3/8: অভিযোগ, কম অ্যাকাডেমিক স্কোর থাকা সত্ত্বেও তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এর জন্য পর্ষদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়েই তাঁদেরকে নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে! আর তাতেই বেশি অ্যাকাডেমিক স্কোর থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ছাপিয়ে তাদের মোট নম্বর বেড়ে যায়।
আরো চাকরি: রাজ্যে মাধ্যমিক পাশে মাল্টি টাস্কিং স্টাফ পদে চাকরি
4/8: সম্প্রতি ২০১৬ সালে প্রাথমিকের চাকরি না পাওয়া কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে প্রমাণ তুলে ধরে জানান, তাঁদের অ্যাকাডেমিক স্কোর বেশি থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি। তার কারণ অ্যাপটিটিউড টেস্ট। যারা চাকরি পেয়েছে তাদের মধ্যে ২৫ হাজার জনের কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি বলে আবেদনে জানান ওই চাকরিপ্রার্থীরা। ওই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় জেলায় জেলায় প্যানেলের নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ চলাকালীন এই বড় গাফিলতি ঘটে বলে অভিযোগ।
5/8: অ্যাপটিটিউড টেস্ট হল চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার মধ্যেরই একটি অংশ। ইন্টারভিউয়ে যেমন ৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে, ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী অ্যাপটিটিউড টেস্টের জন্য একজন চাকরিপ্রার্থীর ৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল। এই অ্যাপটিটিউড টেস্টের জন্য ইন্টারভিউ প্যানেলের প্রশ্ন অনুযায়ী চক ডাস্টার নিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে গিয়ে নির্দিষ্ট কোনও বিষয় সমাধান করে দেখাতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের।
6/8: তাই সাধারণত কোনও স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই এই অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়। কিন্তু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের নিয়োগের ক্ষেত্রে বহু জেলায় শ্রেণিকক্ষের পরিবর্তে স্কুলের বারান্দায় ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট আয়োজিত হয়েছে। যেখানে ব্ল্যাকবোর্ড থাকার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না।
7/8: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নতুন অভিযোগ শুনে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পালের জবাব তলব করেন। এর জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে পর্ষদ সভাপতিকে। আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে পর্ষদ সভাপতিকে জানাতে হবে।
8/8: ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেলে নাম থাকা সকল চাকরিপ্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কিনা হয়ে থাকলে তা কীভাবে হয়েছিল সেটাও জানাতে হবে। পাশাপাশি চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্ষদ কীভাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিচ্ছে সেটাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী উত্তর দেবেন তার উপরই এই ২৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অনেকটা নির্ভর করবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
আরো আপডেট: নোটের উপর একটা কালির দাগ থাকলেই তা বাতিল, কি বলছে RBI
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপ | Join Now |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো আপডেট-Click Here