SSC ভুয়ো গ্রুপ-ডি কর্মীদের বাঁচার উপায় নেই, ৮ ফেব্রুয়ারির উপর নজর সকলের

SSC fake Group-D employees have no way to survive, all eyes on February 8

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে আর সময় দিতে রাজি নয় আদালত। দুর্নীতি প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu)। এই দুর্নীতির একেবারে গোড়ায় পৌঁছতে তিনি এক চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিয়েছেন।

জানুয়ারি মাস একেবারে শেষের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি, ওইদিনের মধ্যে এসএসসির গ্রুপ-ডি পদে যারা নিযুক্ত হয়েছেন এবং ওয়েটিং লিস্টে যে সকল চাকরিপ্রার্থীদের নাম আছে সকলের ওএমআর শিট (OMR Sheet) প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

স্কুলের গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তা কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার নিয়োগ ওএমআর শিট কারচুপি করে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে তেমন একটা কড়া পদক্ষেপ করেনি এসএসসি। এই নিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এসএসসির ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এরপরই ওএমআর শিট প্রকাশের মত কড়া নির্দেশ দেন।

SSC fake Group-D employees have no way to survive, all eyes on February 8

বিচারপতি বসু ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছেন?

1/4: রাজ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তিনি যেভাবে এসএসসি এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক সাড়া ফেলে দেওয়া রায় দিয়েছেন তা রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

2/4: তবে কলকাতায় হাইকোর্টের অপর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু‌ও এক্ষেত্রে খুব একটা পিছিয়ে নেই। অতীতে তিনিও হাইকোর্টের এজলাসে প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনিও লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন। সেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির বহর এবং তারপরেও এসএসসির ভূমিকা নিয়ে বিস্মিত হয়ে যান।

3/4: এর আগে টেট দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এসএসসির গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বলেন, গাজিয়াবাদ থেকে যে হার্ডডিস্ক উদ্ধার হয়েছে তাতে রাজ্যের স্কুলগুলোতে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ওয়েটিং লিস্টে যারা আছে তাদের সকলের ওএমআর শিট আগামী এক সপ্তাহর মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। বিচারপতির বেঁধে দেওয়া দিন শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার, অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি।

4/4: এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি হবে। তবে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এই কড়া মনোভাবের পর এসএসসির গ্রুপ-ডি পদে বেআইনিভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের আর বাঁচার কোন‌ও উপায় রইল না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেন ইতিমধ্যেই এসএসসি বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। সেইসঙ্গে জানতে চান এই বেআইনি কর্মীদের বরখাস্ত করলে শূন্য পদে নতুন কর্মী নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি।

গুরুত্বপূর্ণ লিংক:  👇👇👇👇

কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপ Join Now
✅ Telegram Channel Join Now

Join Kajkarmo Telegram.jpeg

🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇