এবার কি তবে রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনটাই (SSC) ভেঙে দেওয়া হবে? অন্তত কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতির মন্তব্যে তেমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমনিতেই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের যথেষ্ট মুখ পুড়েছে।
তার উপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা আদালতের রায় যথাযথভাবে না মানায় বিচার ব্যবস্থাও এসএসসির উপর ক্রমশ বিরূপ হয়ে উঠছে। এই সংক্রান্তই একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Biswajit Basu) এসএসসির ভূমিকায় রুষ্ট হয়ে “কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক” বলে কড়া মন্তব্য করেন।
ঠিক কী কারনে এমন মন্তব্য?
1/7: বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। এই মামলাটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টালবাহানা চলছে। কারণ এর আগে ১৯ মে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে যে সমস্ত যোগ্য বঞ্চিতরা চাকরি পাননি তাঁদের জন্য এই অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করা হবে।
2/7: কিন্তু রাজ্য সরকারেরই অধীনস্থ স্কুল সার্ভিস কমিশন সম্পূর্ণ উল্টো দাবি করে বসে। কমিশন বলে, বেআইনি নিয়োগের কারণে যে সমস্ত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে বা হবে তাদের জন্যই ওই অতিরিক্ত শূন্য পদ।
3/7: এতে অতিরিক্ত শূন্য পদ ইসুতে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের মতভেদ স্পষ্ট হয়ে যায়। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে একসময় কমিশনের আইনজীবী এই নিয়ে অদ্ভুত সব তথ্য তুলে ধরতে শুরু করলে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েই বলেন, “একই মামলায় রাজ্য ও কমিশনের ভিন্নমত হয় কি করে? আর তাই যদি হবে তবে কমিশন ভেঙে দেওয়া হচ্ছে না কেন?”
4/7: স্কুল সার্ভিস কমিশন অতিরিক্ত শূন্য পদ নিয়ে যে যুক্তি দিয়েছে তা মোটেও মনঃপুত হয়নি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। কমিশন বলেছিল, যারা নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন তারাও তিন-চার বছর হয়ে গেল কাজ করছেন। তাঁদেরও সংসার আছে। তাই তাদেরকে এভাবে পুরোপুরি বাতিল করে দিলে সমস্যা দেখা দেবে। আর তাতেই কমিশনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
5/7: বেআইনিভাবে নিযুক্ত শিক্ষকদের স্বার্থ স্কুল সার্ভিস কমিশন কেন দেখার চেষ্টা করছে সেটাই বোধগম্য হয়নি। তাই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পরিষ্কার জানিয়ে দেন বেআইনিভাবে নিয়োগের কারণে যাদের চাকরি যাবে তাদের কোনমতেই আর শিক্ষকতার চাকরিতে নিযুক্ত করা যাবে না। কারণ তাতে ছাত্রছাত্রীদের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
6/7: উল্লেখ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পঠন-পাঠনের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করে। এছাড়াও হাইস্কুলগুলোর অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগের দায়িত্বও তাদের উপর বর্তায়। তাদের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার দিকে প্রতিবছর রাজ্যের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে।
7/7: কিন্তু সত্যিই স্কুল সার্ভিস কমিশন যদি ভেঙে দেওয়া হয় তবে রাজ্যের বেকারদের চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া এক বড়সড় পরিবর্তন আসবে। তবে একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানোয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর চাকরিপ্রার্থীদের ভরসাও প্রায় তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 সত্যিই টেট পাশ করেছেন মমতা ব্যানার্জি, দিলীপ ঘোষরা?
🎯 বছরে দুবার হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা
🎯 রাজ্যে সুপারভাইজার সহ বিভিন্ন কর্মী নিয়োগ