প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে টেট পাশদের আন্দোলন দিন দিন আরও জটিল হয়ে উঠছে। সোমবার থেকে সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস আচার্য সদনের সামনের রাস্তায় শুয়ে-বসে আন্দোলন শুরু করে ২০১৪ এর টেট পাশ ‘নন ইনক্লুডেড’ চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে আন্দোলনে বসল ২০১৭ এর টেট পাশরা।
কেন এই আন্দোলন?
২০১৪ এর টেট পাশ ‘নন ইনক্লুডেড’ চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলনের স্বপক্ষে দুটি যুক্তি তুলে ধরেছেন। তাঁদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কারণেই তাঁরা চাকরি পাননি। ২০২০ সালে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েও শেষ করা হয়নি কেন? সেই প্রশ্নও তারা তুলেছেন। এর পাশাপাশি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সকলকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ২০১৪ এর টেট পাশরা।
টেট পাশ আন্দোলনকারীদের দাবী
এই টেট পাশ আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের সকলকে যতক্ষণ না নিয়োগ করা হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।
এদিকে ২০১৭ এর টেট পাশদের দাবি, সরকারের প্রতিশ্রুতি পালন, দাবি-আন্দোলনের চক্করে যেন তাঁদের চাকরি পেতে সমস্যা না হয়। এই দাবিতেই আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। তবে উভয়পক্ষেরই দাবি, প্রাথমিকে মোট শূন্য পদের প্রকৃত সংখ্যা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ১১ হাজারের থেকে অনেক বেশি। তাই সব শূন্য পদে নিয়োগ করলে সকলে চাকরি পেয়ে যাবে।
আন্দোলন এখন কোন পর্যায়ে?
২০১৪ এর টেট পাশ ‘নন ইনক্লুডেড’ চাকরিপ্রার্থী ও ২০১৭ এর টেট পাশদের এই আন্দোলনকে মান্যতা দিতে রাজি নয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারা কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের দারস্থ হয়। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে হাইকোর্ট জানায়,পর্ষদ অফিস চত্বরে যেহেতু ১৪৪ ধারা জারি থাকে, তাই প্রশাসন চাইলে পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে। আদালতের এই নির্দেশ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, দরকারে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের ওই এলাকা থেকে তুলে দিতে পারে।
বাস্তবে হয়েছেও তাই। রাত গভীর হলে, সাড়ে বারোটা নাগাদ টেট অফিসের সামনে হঠাৎ অ্যাকশন শুরু করে পুলিশ। তার আগে বিশাল বাহিনী নিয়ে আসা হয়। ২০১৪ ও ১০১৭ উভয় সালের টেট পাশদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাঙদোলা করে করুণাময়ী থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যে চাকরিপ্রার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের এই ‘বলপ্রয়োগের’ তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে। টেট আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের বাক দিয়েছে বিভিন্ন পক্ষ।
👍 আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হতে চাইলে নিচে ক্লিক করুন, এখানে সর্প্রথম আপডেট দেওয়া হয়।
🔥 আরো আপডেট 👇👇
🎯 সামান্য ভুলেই বাতিল হতে পারে টেটের ফর্ম ফিলাপ!
🎯 কলেজে চাকরি পাওয়া আরো সহজ হলো
🎯 রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতেও অনিয়ম