চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের আন্দোলন কিছুটা হলেও সম্প্রতি ধাক্কা খেয়েছে। এতোদিন ন্যায়ের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীরা যে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল তা কমবেশি আদালতের ‘বরাভয়’ পাচ্ছিল। ২০১৪ সালের টেট পাশ আন্দোলনকারীরাও আদালতের রায়েই পুজোর সময় কলকাতার রাজপথে আন্দোলন চালিয়েছেন। কিন্তু এবার সেই আদালতের রায়েই তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে।
টেট প্রার্থীদের আন্দোলন কেন প্রশ্নের মুখে?
২০১৪ সালের টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরে সরব। দুর্গাপুজোর আগে তাঁরা কলকাতার রাজপথে ময়দানের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসএসসি আন্দোলনকারীদের মতো ধর্নায় বসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এই দাবি নিয়ে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের স্মরণাপন্নও হয়েছিলেন। মামলাটি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ওঠে। সওয়াল জবাবের পর রাজ্য প্রশাসনের বিরোধীতা সত্ত্বেও ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জন্য গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে আন্দোলন করার অনুমতি দেন বিচারপতি।
এই অনুমতির মেয়াদ ফুরোয় ২১ সেপ্টেম্বর। তবু দুর্গাপুজোর সময় ২০১৪ এর টেট পাশরা মোটামুটি রাস্তাতেই ছিলেন। তাঁরা এই আন্দোলন টানা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে আন্দোলন করতে হলে সেক্ষেত্রে ফের আদালতের অনুমতি জোগাড় করা আবশ্যক ছিল। সেইমতো ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
কিন্তু এই মুহুর্তে হাইকোর্টে ছুটি চলায় ২০১৪ এর টেট পাশদের মামলাটি যায় কলকাতা হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চে। এবার মামলাটি শোনেন বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি শুনানির পর আন্দোলনকারীদের আবেদন খারিজ করে দেন। জানান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল যখন তবে প্রথমেই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন বেঞ্চে যাওয়া উচিৎ ছিল চাকরিপ্রার্থীদের।
বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের রায়ের অর্থ, এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা যখন মাত্র পাঁচদিনের জন্য গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে আন্দোলন করার রায় দিয়েছিলেন, তখনই সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর বেঞ্চে যেতে হতো। চাকরিপ্রার্থীদের জানাতে হতো যে তাঁরা মাত্র পাঁচদিনের জন্য নয়, আরও বেশি সময়ের জন্য এই আন্দোলন চালাতে চান।
তবে আদালতের এই রায়ের ফলে বৃহস্পতিবার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট পালদের আন্দোলনই বন্ধ হচ্ছে। এসএসসির যে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ৬০০ দিন ছুঁতে চলেছে, এই রায়ের প্রভাব তাঁদের উপর পড়বে না। তাঁরা ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আগের মতোই আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারবেন। এখন দেখার, হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ এর টেট পাশরা উচ্চতর আদালতে যান কিনা।
👍 চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 মাধ্যমিক পাশে ভারতের রেলে 3154 শূন্যপদে নিয়োগ
🎯 ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে ৪৪ জনকে দেওয়া হয়েছে চাকরি
🎯 বেতন ১ লক্ষ টাকা, কাজ- ঘুমানো