আইরিস স্ক্যান ম্যাচ করলে তবেই টেট পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ স্বচ্ছ পরীক্ষার স্বার্থে এমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। আইরিস, অর্থাৎ চোখের মণি এবং থাম্ব ইম্প্রেশন, মানে হাতের আঙুলের ছাপ স্বয়ংক্রিয় স্ক্যানারের মাধ্যমে যাচাই করেই টেট পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়ার ব্যবস্থা হতে চলেছে।
এমনকি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মুখমণ্ডলের আকৃতিও মিলিয়ে দেখা হতে পারে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের কোনও পরীক্ষাতেই পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের আগে এতো অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষার্থী নির্বাচনের বন্দোবস্ত করা হয়নি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ১১ ডিসেম্বরের টেট পরীক্ষায় এক বিরল নজির সৃষ্টি করতে চলেছে।
TET পরীক্ষায় কেন স্ক্যানের সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে গোটা রাজ্য উত্তাল। এক্ষেত্রে ওএমআর (OMR) শিট জালিয়াতি, ঘুষ দিয়ে চাকরির পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে টেট পরীক্ষায় না বসেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন। এমনকি বহু ভুয়ো পরীক্ষার্থী এর আগের দুই টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন বলেও বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এই অবস্থায় এবারের টেট পরীক্ষা ঘিরে যাতে কোনরকম প্রশ্ন না ওঠে তা সুনিশ্চিত করতে চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টিতে সবচেয়ে জোর দিয়েছেন।
এর জন্য বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সিগুলোর থেকে দরপত্র চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যারা রাজ্যের হাজার হাজার টেট পরীক্ষা কেন্দ্রে চোখের মণি ও হাতের আঙুলের ছাপ স্ক্যান করে আসল পরীক্ষার্থী কিনা তা যাচাই করে পরীক্ষায় বসতে দেবে।
এর জন্য বিপুল পরিকাঠামো দরকার। তা রাতারাতি গড়ে তোলা কঠিন। তাই এই বিষয়ে দক্ষ সংস্থাদের থেকে আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে দরপত্র চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপর সেই দরপত্র দেখেই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে রাজ্যের প্রতিটি টেট পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভির মাধ্যমে প্রতিমুহূর্তের ঘটনা রেকর্ডিং করা হবে। যাতে পরবর্তীতে কোনও বিতর্ক দেখা দিলে এই সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে সহজেই তার নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়। এই বিষয়েও অনলাইনে দরপত্র চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদের উদ্যোগ নিয়েও আছে সমালোচনা?
বিতর্কবিদ্ধ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট পরীক্ষা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেও সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। কারণ চোখের মণি ও হাতের আঙুলের ছাপ স্ক্যান করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়টিতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হবে তার সংস্থান কোথা থেকে হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এছাড়াও ভুক্তভোগীদের পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধীদের দাবি, পরীক্ষা কেন্দ্রে আসল দুর্নীতি হয় না। তা ভেতর থেকেই পর্ষদের কর্তারা কলকাঠি নেড়ে করে থাকে। তাই ওপর ওপর যতই ব্যবস্থা নেওয়া হোক না কেন, যদি শাসক দল এবং সরকারি কর্তাদের সদিচ্ছা না থাকে তবে কোনমতেই স্বচ্ছ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন- Click Here
▶️ প্রতিদিনের চাকরির আপডেটঃ Job Update
👍চাকরি ও কাজের আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হয়ে যান
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 ২ টি জেলাতে প্রাইমারি টেটের কোনো শূন্যপদ নেই
🎯 ৩১ হাজার টাকা বেতনে এয়ারপোর্টে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি
🎯 প্রাইমারি টেটের ফর্ম ফিলাপে বহু ভুল!