1/9: ২০১৪ এর টেট উত্তীর্ণদের জন্য বকেয়া শূন্য পদে ২০১৭ এর টেট পাশদের নিয়োগ করা যাবে না। আরও একবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE)।
2/9: তবে তাদের সেই দাবি উচ্চতর বেঞ্চেও মান্যতা পেল না। এক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কেই বজায় রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়ল।
3/9: এই প্রতিবেদনটি শুরুর অংশ দেখে অনেকের মধ্যেই এই প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। কারণ ২০১৪ এর টেট উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ২০১৬ ও ২০২০ সালে দুই ধাপে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তাতে প্রায় ৫৮ হাজার জন চাকরিও পেয়েছেন।
4/9: স্বাভাবিকভাবেই আলাদা করে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের জন্য শূন্য পদ পূরণ বাকি থাকতে পারে এই ভাবনাটাই মাথায় আসা কঠিন। কিন্তু হিসেব বলছে সত্যিই ২০১৪ এর উত্তীর্ণদের ৩,৯২৯ টি শূন্য পদ পূরণ এখন বাকি।
5/9: আসলে ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদ আছে। পরে চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করেন, সব শূন্য পদ পুরণ করা হয়নি। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে দেখা যায় সাড়ে বারো হাজারের মতো শূন্যপদ পূরণ হয়েছে।
6/9: অর্থাৎ তখনও ৩,৯২৯ টি শূন্যপদ পূরণ করা বাকি। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই শূন্য পদে কেবলমাত্র ২০১৪ এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের অধিকার আছে। এখানে অন্য কাউকে নিয়োগ করা চলবে না।
7/9: এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় তারা নতুন করে ১১ হাজার ৭৬৫ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করবে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায় তাদের বেশ কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দেয়। তাই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ।
8/9: সেখানে তারা দাবি করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যাবে। কিন্তু বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতির সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন।
9/9: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদকে জানিয়েছে ২০১৪ এর টেট পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ শূন্য পদে একমাত্র ওই সময়কার প্রার্থীদেরই নিয়োগ করতে হবে। চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে শূন্য পদের কথা পর্ষদ ঘোষণা করেছে তাতে যদি ওই ৩,৯২৯ টি শূন্য পদ ধরা থাকে তবে সেগুলি শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের জন্য আলাদা করে সরিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি সকলকে মেধার ভিত্তিতে সুযোগ দিতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এই রায়ের ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপর চাপ যে আরও বাড়ল তা বলাই যায়।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগেও OMR জালিয়াতি
🎯 প্রাইমারি টেট নিয়ে আবার নতুন মামলা হাইকোর্টে
🎯 উচ্চমাধ্যমিক পাশে কোলকাতা বন্দরে চাকরি