1/9: আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি সহ গুচ্ছের কার্ড এবং সেগুলো তৈরি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকো। এতদিন এটাই ছিল পরিচিত ছবি। তবে খুব দ্রুত এই ছবিটা বদলে যেতে চলেছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে গোটা বিষয়টাই অনলাইনে হবে। আর সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র। পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, জন্ম শংসাপত্র অর্থাৎ বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়া আর সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করা যাবে না।
2/9: প্রথমে স্কুলে ভর্তি করার বিষয়টিতে আসা যাক। আজ পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করার ক্ষেত্রে বার্থ সার্টিফিকেটের পাশাপাশি আরও অন্য একটি উপায়ে ভর্তি করা যায়। শিশুটির মা গিয়ে যে দিনটিকে নিজের সন্তানের জন্ম তারিখ বলে দাবি করেন সেই দিনটিকেই মান্যতা দিয়ে স্কুল শিশুটিকে ভর্তি নিয়ে থাকে। কিন্তু ২০২৩ সালের পর থেকে এই ব্যবস্থাটি পুরোপুরি উঠে যেতে চলেছে।
3/9: কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে এবার থেকে শুধুমাত্র জন্ম শংসাপত্র দেখিয়েই স্কুলে ভর্তি হওয়া যাবে। দেশের প্রকৃত জনসংখ্যার হিসেব রাখতেই সরকার জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র নিয়ে এই কড়াকড়ি করতে চলেছে।
4/9: জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র আইন ১৯৬৯ দেশে বলবত আছে। কিন্তু সেই আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয় না। তাই এই আইনে কিছু সংশোধনী এনে তাকে আরও কড়া করতে চলেছে মোদী সরকার। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল আনা হতে পারে। বিষয়টি আইনে পরিণত হলেই জন্ম শংসাপত্র ছাড়া শিশুদের স্কুলে ভর্তি করার বিষয়টি পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
5/9: নতুন আইনে শিশুর জন্মের তিন মাসের মধ্যেই জন্ম শংসাপত্র তৈরি করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গোটাটাই অনলাইনে আবেদন জানিয়ে করতে হবে। কিন্তু কোনও অভিভাবক যদি সেটা না করেন তবে শিশুর বয়স তিন মাস পেরিয়ে গেলে সন্তানকে সঙ্গে করে নিয়ে বার্থ রেজিস্ট্রেশন অফিসে গিয়ে জন্ম শংসাপত্র তৈরি করতে হবে। স্কুলে ভর্তির সময় সেই জন্ম শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি আমরা আগেই জানিয়েছি।
6/9: তবে শুধু স্কুলে ভর্তি নয়, এই জন্ম শংসাপত্রের ভিত্তিতেই এবার বাড়িতে বসেই ভোটার তালিকায় নাম উঠে যাবে। কারোর বয়স ১৮ পেরোলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচন কমিশন তার নাম ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে দেবে। এমনই পরিকল্পনা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই কারণেই জন্ম শংসাপত্র নিয়ে এতটা কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
7/9: একই সঙ্গে মারা গেলে পরিজনদের মৃত্যু শংসাপত্র দ্রুত তুলে নেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোকে ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর পুঙ্খানুপুঙ্খ কারণ বর্ণনা করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। মৃত্যু শংসাপত্রের বিষয়টি আবশ্যক হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভোটার তালিকা থেকে মৃত মানুষদের নাম বাদ পড়বে। এর জন্য পরিজনদের আর নির্বাচন কমিশনের অফিসে যেতে হবে না।
8/9: এদিকে ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি বাসিন্দার আধার কার্ড তৈরি করে ফেলার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রেও পুরো বিষয়টি অনলাইন করে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে অফিসের লাইনে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর সময় নষ্ট না হয়।
9/9: অর্থাৎ ২০২৩ এর শুরু থেকেই সন্তানকে স্কুলে ভর্তি, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদিতে এক বিপুল পরিবর্তন আসতে চলেছে। তবে এর সম্পূর্ণ রূপরেখা এখনও সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। এটা আমরা যেমন যেমন জানতে পারব, তেমন তেমন আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপএবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 WBPSC Recruitment New Notice
🎯 সরকারি কর্মীদের ৩ গুণ বেতন বাড়তে পারে
🎯 টেট নিয়ে কড়া বার্তা নবান্নের