1/10: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফের কড়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নয়া নির্দেশে এবার 2014 সালের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল বাতিল করা হল। ওই বছরের প্যানেলের মোট 36 হাজার জন প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
2/10: কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? অভিযোগ উঠেছিল 2014 সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় 2016 সালে। ওই বছর চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয় 42 হাজার 500 জনকে।
3/10: কিন্তু প্রার্থীদের নির্বাচিত করার সময় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি ও ইন্টারভিউয়ের নিয়ম মানা হয়নি। এমনকি, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নিয়েই নাকি ইচ্ছামতো নম্বর দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের, এমন অভিযোগও উঠছে!
4/10: পর্ষদের তরফে এমন বেনিয়ম কেন করা হলো? এই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরেই 2016 সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ যেসব পর্ষদ আধিকারিকরা নিয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
5/10: অবশেষে মামলার রায় জানালেন বিচারপতি। রায়ের জেরে বাতিল হতে চলেছে 36 হাজার জনের চাকরি! 2014 সালের টেট পরীক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে আদালতের মন্তব্য, ‘2016 সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের নেপথ্যে দুর্নীতিতে রয়েছেন তৎকালীন বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সরকার মনে করলে মানিক ভট্টাচার্যর থেকে টাকা নিয়ে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করবে’।
6/10: তবে, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়কে যে তৃণমূল সরকার মানছেন না, তা সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
7/10: সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, ‘যদি কোনও জেদাজেদির বিষয় হয়, বা টেকনিক্যাল কোনও কারণে, যদি এরকম হয়, এতজন মানুষ আছেন, তাঁরা যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে নেন, তাহলে তো সমস্যা মিটে যেতে পারে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দফতর, সংশিষ্ট বিভাগ আইনি পথে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, নেবে’।
8/10: অর্থাৎ চাকরি বাতিল সংক্রান্ত বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার।
9/10: অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করবে বলে জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘বোর্ড আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছে। আমরা এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করতে যাচ্ছি’।
10/10: সভাপতি বলেন, বর্তমানে 36 হাজার প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। চাকরি জয়েন করার সময় বোর্ড সবাইকেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাই, তাঁরা এখন আর অপ্রশিক্ষিত নেই।’
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।
এগুলিও পড়ুন 👇👇
- কেন্দ্রীয় বস্ত্র দপ্তরে চাকরি, লিংকে ক্লিক করে আবেদন করুন
- রাজ্যের খাদ্য দফতরে ফুড SI নিয়োগ, বিস্তারিত আপডেট জানুন
- রাজ্যের মাদ্রাসায় 1729 শূন্যপদে নিয়োগ-অনলাইনে আবেদন