1/8: ‘সাদা খাতার মজাই আলাদা’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো মজার কথাটা যে বাস্তবে কতটা সত্যি? তা প্রমাণ করে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি (WBSSC)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলবার সন্ধেয় তারা ৪০ জন অযোগ্য শিক্ষকের উত্তরপত্রের নমুনা (OMR Sheet) সহ তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এই ৪০ জন ওএমআর শিট কারচুপির কারণে চাকরি পেয়েছিল বলে কলকাতা হাইকোর্টে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি।
2/8:কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতেই জানা গিয়েছে, ওই ৪০ জন অযোগ্য শিক্ষক এসএসসি কর্তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তাই তাদের কেউ এসএসসি পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দেন। আবার কেউ দু-একটি প্রশ্নের বাইরে আর উত্তর দেননি। কারণ রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষা কর্তারা নির্দেশ দিয়েছিলেন, পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিতে।
3/8:পরীক্ষার পর সেই সাদা খাতায় এসএসসির দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মী ও আধিকারিকরা নিয়মমত কালো কালির বলপেন দিয়ে ওএমআর শিট ভর্তি করে দেয়। যাকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওএমআর শিট কারচুপি নাম দিয়েছেন।
4/8:এমনকি কিছু চাকরিপ্রার্থী এসএসসির দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের নির্দেশমতো ইচ্ছে করে নীল কালির পেন দিয়ে ওএমআর শিট ভর্তি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী কালো কালির পেন দিয়ে ওএমআর শিট ভর্তি না করলে তা সঠিকভাবে রিড করা যায় না। পরীক্ষা শেষে এসএসসির দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকরা কালো কালি দিয়ে সঠিক উত্তরগুলো ভর্তি করে দেন।
5/8:মঙ্গলবার সন্ধেয় এসএসসি ৪০ জনের যে নমুনা ওএমআর শিট তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, একজন চাকরিপ্রার্থী ওএমআর শিটে ভালো করে নিজের রোল নম্বরটাই লিখতে পারেননি। অথচ দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে তিনি এখন হাইস্কুলের শিক্ষিকা হয়ে গিয়েছেন!
ভুলভাল OMR ফিল আপ করেও মিলেছে চাকরি। হাসিক খোরাক সোশাল মিডিয়ায়😅 pic.twitter.com/aBCiIQRgbp
— Kaj Karmo- কাজকর্ম (@KajKarmo) December 7, 2022
6/8:স্বাভাবিকভাবেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর এসএসসি তাদের ওয়েবসাইটে যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু অভিজ্ঞ শিক্ষক পর্যন্ত এই নিয়ে নিজেদের হতাশা ও ক্ষোভের কথা উগরে দিয়েছেন। তাঁরাও বলছেন, সত্যিই সাদা খাতার মজাই আলাদা! এসএসসির তালিকা সেটা প্রমাণ করে দিল।
7/8:রাজ্যের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষকদেরই একটা বড় অংশ পরীক্ষার খাতায় কারচুপি করে চাকরি পাওয়ায় রাজ্যের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা আর শিক্ষকদের ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না। সেই সঙ্গে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার উপর থেকেই আস্থা উঠে যেতে শুরু করেছে।
8/8:অনেক পড়ুয়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার মধ্যে আর ভুল কিছু দেখছে না। বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতির ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা। তার একেবারে ভিত নড়ে গিয়েছে।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 বছরের শেষে WBPSC-র নতুন চাকরির বিজ্ঞপ্তি
🎯 টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এই সিদ্ধান্ত পর্ষদের