১৯৬ জন প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি বেচে গেলো? বাতিল চাকরির উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

The jobs of 196 primary teachers were saved

1/9: রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেটে ভুরি ভুরি দুর্নীতি করা হয়েছে, যাতে প্রত্যক্ষ ভাবে মদত যুগিয়েছে রাজ্যের শাসক দলের সাথে যুক্ত কিছু ব্যাক্তি, এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলাও চলছে।

2/9: 2014 সালে টেট পরীক্ষা পাশ করে 2017 সালে চাকরিতে যোগ দেন 269 জন শিক্ষক। তবে ওই শিক্ষকদের নিয়োগে অস্বচ্ছতা রয়েছে এই অভিযোগের কারণে 2022 সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হবার পরে বিচারক ওই 269 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন

3/9: প্রথম দফায় 23 ডিসেম্বর তারিখে 53 জনের এবং দ্বিতীয় দফায় 4 জানুয়ারি 143 জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারক। চাকরি হারানো শিক্ষকরা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে।

4/9: ওই শিক্ষকদের করা আবেদনের উপরই সুপ্রিম কোর্ট মোট 196 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চ 9 এপ্রিল, সোমবার শিক্ষকদের চাকরি বাতিল স্থগিত করার নির্দেশ দেন।

5/9: গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ দুর্নীতির সাহায্য নিয়ে চাকরি পেয়েছে এই অভিযোগে 269 জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সেই একই নির্দেশ বহাল রেখেছিল।

6/9: হাইকোর্টের রায়ে বদল না আসায় চাকরি হারানো ওই শিক্ষক শিক্ষিকারা এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এই মামলাটির আগের শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে। সেই সময় হাইকোর্টের রায়ের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে আলাদা মতামত দিয়েছিল এই বেঞ্চটি।

7/9: সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, ঠিক কিসের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হল? এর উত্তরে মামলাকারীরা জানান, তাঁদের পার্টি পর্যন্ত করা হয়নি এই মামলায়।

8/9: সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে এই নিয়ে হাইকোর্টের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ কোনও বদল আনেনি। কেবলমাত্র প্রাথমিক তথ্য হিসাবে উল্লেখ করা হয় ওই শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ জটিলতার (প্রতারণার) কথা।

9/9: 12 এপ্রিল তারিখে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার সঙ্গে এই মামলাটিরও শুনানি হবার কথা। যে 196 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তা বহাল থাকবে নাকি ওই শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হবে, তা জানা যাবে।

বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।

🔥 হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ: Join Now

এগুলিও চাকরির আপডেট 👇👇