৬ বছর আগের ৪৩ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকদের চাকরি আশঙ্কার মুখে, আদালত কি বলছে? জানুন

The jobs of 43,000 primary teachers 6 years ago are in danger

1/8: বর্তমান রাজ্য সরকারের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য এখন সরগরম। তৃণমূল আমলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অসৎ উপায় অবলম্বন করা হয়েছে জানিয়ে রাজ্যের প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক থেকে গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি লেভেলের অনেক প্রার্থীদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়। বিষয়টি এখনও হাইকোর্টের বিচারাধীন।

2/8: তবে চাকরি দুর্নীতি নিয়ে কেচ্ছার বাড়বাড়ন্ত হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করেছেন বাম আমলের নিয়োগের দিকে। তাতে অবশ্য খুব একটা তদন্তের গতিমুখের পরিবর্তন হয় নি। বরং 2016 – 2017 সালে যে 43 হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের চাকরি আদৌ থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

3/8: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 2016 – 2017 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির এই মামলাটির দায়িত্বে আছেন। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির বহু মামলাতে আগেও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চাকরি বাতিলের মত চরম সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে। তবে এবারের মামলার শুনানি শেষে কী রায় দেবেন বিচারপতি, তা ভেবে 2016 সালে নিয়োগ পাওয়া 43 হাজার শিক্ষকেরা বেশ আশঙ্কিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

4/8: মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে 2014 সালে সালে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে 2016 সালে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। মোট 42 হাজার 949 টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে।

5/8: মামলাকারীদের অভিযোগ, 2016 সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রচুর বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। বিকৃত করা হয়েছে ওএমআর (OMR) শীট। এই নিয়ে অসংখ্য প্রমাণও রয়েছে আদালতের কাছে। চাইলেই আদালতের তরফে 2016 সালের নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করা সম্ভব

6/8: কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, পুরো প্যানেল বাতিল করা হলে যেসব প্রার্থীরা ন্যায্য ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাদের কথাও ভাবতে হবে। তাঁর সংযোজন, ‘এক জনও বৈধ প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আদালতের তা ভালো লাগবে না।’

7/8: যাদের অস্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করার কোনো উপায় আছে কিনা তা আইনজীবীদের থেকে জানতে চান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে তদন্তের সময় আদালতে দাঁড়িয়েও সমানে মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছেন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিককে তোপ দেগে বিচারপতি বলেন, ‘দুর্নীতির সব নদী একই সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে। সমুদ্র থেকে মানিক বেছে তুলতে হবে।’

8/8: তবে 2016 সালে নিয়োগ পাওয়া প্রায় 43 হাজার শিক্ষকের চাকরি আদৌ থাকবে নাকি বাতিল হবে, সে বিষয়ে সব পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে আদালতের তরফে।

বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে যান।

🔥 হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ: Join Now

এগুলিও পড়ুন 👇👇