এসএসসি-এর আরও এক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া জট পাকিয়ে গেল। কাউন্সিলিং শুরু হলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত দু’দিনের জন্য গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। এক্ষেত্রেও SSC-এর বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরিতে গরমিল করার অভিযোগ উঠেছে। আর তাতেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর দু’দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ফলে উচ্চ প্রাথমিকের কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ এখনই হচ্ছে না।
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে কী নিয়ে বিতর্ক?
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। এরপর ২০১৭ সালে সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আবেদনকারীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলপ্রকাশের পর ২০১৮ সালে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউও হয়ে যায়। কিন্তু বেনিয়ম, বঞ্চনা ইত্যাদি অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ মামলা করায় নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যায়।
পরে আদালত সমস্যা মিটিয়ে নিয়োগের নির্দেশ দিলে কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষা মিলিয়ে মোট ১৪০৯ জনের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি (SSC)। গত অক্টোবর মাসে তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয় এই তালিকার প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। সেইমতো কাউন্সিলিংও চলতি নভেম্বর মাসের ১০ ও ১১ তারিখ হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু কর্মশিক্ষার যে তালিকায় এসএসসি ঘোষণা করেছিল তা নিয়েই দেখা দেয় বিতর্ক। তফশিলি জাতিভুক্ত সোমার রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসির তালিকা নিয়ে মামলা করেন। তাঁর দাবি, পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ মিলিয়ে তিনি ৭২ নম্বর পেয়েছেন। অ্যাকাডেমিক স্কোরের ক্ষেত্রে যে নম্বর বিভাজ তার ভিত্তিতে ২২ নম্বর পাওয়ার কথা থাকলেও এসএসসি ইচ্ছাকৃতভাবে সব নম্বর যোগ না করে তাঁকে ১৮ নম্বর দিয়েছে বলে ওই চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেন। সেইসঙ্গে আদালতে জানান, এসএসসির তালিকায় কমপক্ষে ৬০ জন এমন চাকরিপ্রার্থী আছেন যারা তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়েছে।
আদালত কী রায় দিয়েছে?
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর সোমা রায়ের আইনজীবীর পাল্টা বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসএসসির আইনজীবী জানান, যে ৬০ জনের কম নাম্বার পেয়েও তালিকায় থাকার কথা বলা হচ্ছে তারা সকলেই প্যারা টিচার। নিয়ম মতো ‘বিশেষ সংরক্ষণ যোগ্যতা‘-এর আওতায় তাঁরা ওই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
যদিও এই অভিযোগের পর এসএসসি-এর তালিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি এসএসসিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “খুব সন্দেহজনক তালিকা। প্রয়োজনে গোটাটাই উড়িয়ে দেব!” এরপরই কম নাম্বার পাওয়া তালিকায় থাকা ওই ৬০ জন চাকরিপ্রার্থীকে এই মামলার অংশ করার নির্দেশ দেন।
সেইসঙ্গে জানিয়ে দেন আপাতত কর্মশিক্ষার কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশ পত্র, অর্থাৎ চাকরির রেকমেন্ডেশন লেটার দিতে পারবে না এসএসসি। আগামী দু’দিন এই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ স্থগিত রাখতে হবে। আদালত দরকারে এসএসসির তালিকায় থাকা কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বরের বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর এই তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান বিচারপতি বসু।
বিঃদ্র: নতুন কোনো চাকরির আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। নিচে যুক্ত (Join) হওয়ার লিংক দেওয়া রয়েছে ঐ লিংকে ক্লিক করলেই যুক্ত হয়ে যেতে পারবেন। ওখানেই সর্বপ্রথম আপডেট দেওয়া হয়। আর আপনি যদি অলরেডি যুক্ত হয়ে থাকেন এটি প্লিজ Ignore করুন।
Important Links: 👇👇
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন | Click Here |
✅ Telegram Channel | Join Now |
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
🎯 মাধ্যমিকের পরীক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
🎯 সাহিত্য অ্যাকাডেমিতে গ্রুপ-সি বিভিন্ন পদে চাকরি
🎯 মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পাশে ICICI ব্যাংক নতুন নিয়োগ ২০২২
🎯 উচ্চ মাধ্যমিকের সকলেই ১০ হাজার টাকা আবারো পাবে