প্রাথমিকে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ হলেও তাতে বাংলা মাধ্যমে পড়া চাকরিপ্রার্থীদের খুব একটা লাভ হবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠে গেল। এমনিতেই প্রত্যাশিত সংখ্যার থেকে অনেক কম শূন্য পদের কথা ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার ওপর সংরক্ষণ সহ অন্যান্য জটিলতায় দেখা যাচ্ছে বাংলা মাধ্যমে পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য অর্ধেকেরও কম পদ বরাদ্দ হয়েছে।
এই তথ্য প্রকাশ্যে উঠে আসতেই ক্ষোভ বেড়েছে টেট পাস আন্দোলনকারীদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগের নামে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আসলে চোখে ধুলো দিচ্ছে!
বাংলা মাধ্যমের চাকরিপ্রার্থীদের সুযোগ কমল কেন?
বছর কয়েক আগে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি কলকাতা সহ প্রতিটি জেলাতেই ইংরেজি মাধ্যমের প্রাথমিক স্কুল চালানোর। যাতে অভিভাবকদের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করানোর প্রবণতায় রাশ টানা যায়। এই সিদ্ধান্ত মতো বেশ কিছু বাংলা মাধ্যমের প্রাথমিক স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরিত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই স্কুলগুলিতে যাদের ফার্স্ট ল্যাঙ্গুয়েজ ইংরেজি এমনই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মোট ১১ হাজার ৭৬৫ টি শূন্য পদের কথা ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে টেট পাশ বাংলা মাধ্যমের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৫,৬৮৫ টি পদ। বাকি পদগুলি ইংরেজি মাধ্যমের পাশাপাশি প্রাথমিকে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষক, প্রাক্তন সেনাকর্মী ও বিভিন্ন এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরির জন্য বরাদ্দ।
বাংলা মাধ্যমের টেট পাস চাকরিপ্রার্থীদের শূন্য পদের মধ্যে থেকে জেনারেল ক্যাটাগরির জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩,১৪১ টি পদ। এদিকে রাজ্যের জনবিন্যাস অনুযায়ী জেনারেল ক্যাটাগরির সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। তার উপর টেট পাস চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন বাদ দিলে প্রায় সকলেই বাংলা মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রী। অর্থাৎ ২০১৪ এবং ২০১৭ এর টেট পাশ যে প্রায় ২৯ হাজার আন্দোলনকারী রাস্তায় বসে নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে লড়াই চালাচ্ছে তাঁদের প্রায় সকলেই বাংলা মাধ্যমের।
এই অবস্থায় আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আদৌ কত জন শেষ পর্যন্ত চাকরি পাবেন তাই নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। ফলে প্রাথমিকের এই নিয়োগ গোড়া থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। আন্দোলনকারীদের একটা বড় অংশ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আবার আদালতের দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে যে শূন্য পদ আছে তার সঙ্গে পর্ষদের ঘোষিত শূন্য পদের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।
এদিকে বাড়ির কাছে পোস্টিং পাওয়ার জন্য ৪০ অনূর্ধ্ব ‘ইন সার্ভিস’ অর্থাৎ কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকরাও ফের চাকরির আবেদন করায় টেট পাস চাকরি প্রার্থীদের সুযোগ আরও কমে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সব মিলিয়ে আবেদন পর্বেই প্রাথমিকের নিয়োগ ঘিরে প্রশ্নের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া ইংরেজি মাধ্যমের জন্য যত শিক্ষকের পদ বরাদ্দ করা হয়েছে ততজন চাকরিপ্রার্থী আদৌ আছে কিনা তা নিয়েও বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
✅ কাজকর্ম WhatsApp গ্রুপে জয়েন হোন- Click Here
👍 আমাদের ‘টেলিগ্রাম চ্যানেলে’ যুক্ত হতে চাইলে নিচে ক্লিক করুন, এখানে সর্প্রথম আপডেট দেওয়া হয়।
🔥 আরো আপডেট 👇👇
🎯 ২ টি জেলাতে প্রাইমারি টেটের কোনো শূন্যপদ নেই
🎯 প্রাইমারি টেটের ফর্ম ফিলাপে অনেকেই ভুল করছে! একটি উপায় আছে
🎯 পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য MO পদে চাকরি
🎯 প্রাইমারি টেট নিয়োগ সত্যিই হবে তো?
🎯 গরুর মাংস রান্না নিয়ে প্রশ্ন করা হল পরীক্ষায়