পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে ২০১০ সালের পর থেকে ১৪ বছর পার হয়ে গেলেও নিয়োগ করা হয়নি। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বোর্ডের তরফ থেকে কেন এত দিন ধরে নিয়োগ করা হয়নি তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা উঠেছে।
২০১০ সালে ৩০০০ শূন্যপদের উপর মাদ্রাসার গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইন বিশেষজ্ঞ ফিরদৌস শামীম বলেছেন যে, ” সরকার চাকরি দিতে চায় না। তাই এ ব্যাপারে উদাসীন থেকেছে। সরকারের এই উদাসীনতার জন্য নিয়োগ করা হয়নি।”
আরো আপডেট: রাজ্যের হোমগার্ডদের ভাতা বাড়লো, কত ছিল কত হলো দেখুন
২০১৯ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার জানিয়েছিলেন যে ১৪ দিনের মধ্যে ৩০০০ শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তার কথা উপেক্ষা করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ছিল ডিভিশন বেঞ্চের কাছে। তার শর্তেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। সেই সময়ে কোভিডের দিকে লক্ষ্য করে আদালত ৬ মাসের সময় চেয়েছিল মাদ্রাসা কমিশনের কাছ থেকে। কিন্তু এত দীর্ঘ প্রত্যাশার পরেও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে গ্রুপ-ডি তে নিয়োগ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ে মামলা উঠেছিল। আর মামলাকারীর আইনজীবীরা এত বছর ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে অজুহাত দেখেই চলেছে।
এই প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে, “আর অতিরিক্ত কোনও সময় নয়, ৩ মাসের মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে কমিশনকে। এত দিন সময় নিয়েও নির্দেশ পালন না করার জন্য দু’লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।”
আরো আপডেট: ২০২৩ প্রাইমারি টেট পরীক্ষার রেজাল্ট কবে প্রকাশিত হবে?