গতকালই লোকসভা ভোটের মধ্যেই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধরণের ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বাতিল করা হয়েছে রাজ্যের পঁচিশ হাজার সাতশো তিপ্পান্ন জন শিক্ষকের চাকরি। এমন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই আজ খাদ্য দফতরের সাব- ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল খাদ্য দফতর।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে নেওয়া খাদ্য দফতরে সাব- ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের তদন্ত ভার সিআইডির হাতে তুলে দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর পদের নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।
আরো আপডেটঃ ফুড SI নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট! এরপর তাহলে কী হবে?
হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে এডিজি সিআইডি-র নেতৃত্বে তদন্ত করবে সিআইডি। রাজ্যের সব থানায় দায়ের হওয়া সব এফআইআর-এর তদন্ত করবে সিআইডি। এদিন হাইকোর্টের তরফে রায় জারি করে জানানো হয় যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে।
আগামী 22 মে-র মধ্যে এই অভিযোগ সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসের 16 ও 17 মার্চ ফুড এস আই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। রাজ্য জুড়ে মোট 480 টি শূন্যপদের জন্য প্রায় 12 লাখ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় বসেন একসাথে।
আর আপডেটঃ PGCIL এ CS পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ
পরীক্ষার পরে অভিযোগ উঠতে থাকে যে, খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন একদিন আগেই বেরিয়ে যায়।
বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ যেমন, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে সেই সব প্রশ্ন ও উত্তর বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এরপরেই পরীক্ষা বাতিল করার আবেদন জানিয়ে একদল পরীক্ষার্থী মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে।
এদিকে ফের পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে এর আগে দক্ষিণ কলকাতার মুদিয়ালিতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরো আপডেটঃ SSC এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট অফিসার ও অ্যাকাউন্টেন্ট নিয়োগ, ২৭ মে পর্যন্ত আবেদন চলবে
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফুড ইন্সপেক্টর পদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়ে যায়। তাই ফের পরীক্ষা নিতে হবে কমিশনকে। এই দাবিকেই সামনে রেখে PSC অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পরীক্ষার্থী দের একাংশ।