অবশেষে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়। আজ সকালে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের তরফে 2016 সালের পুরো নিয়োগ প্যানেলটিকেই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর ফলে 25 হাজার 753 জনের চাকরি বাতিল হল।
রাজ্যের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, বিভিন্ন স্তরে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে একাধিক মামলার তদন্ত করছে CBI এবং ED। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 2016 সালে এসএসসির নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ এবং ওই বছরেই স্কুলে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির মামলা। আজ, সোমবার সেই মামলাতেই রায় জানাল হাইকোর্ট।
আদালত এদিন জানায়, নিয়োগের ক্ষেত্রে “সুপার নিউমেরিক পদ” বেআইনিভাবে গড়া হয়েছে। তবে কেবল চাকরি বাতিল নয়, যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের বেতন ফেরত দেবার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতের বয়ানে, ‘CBI তদন্ত করবে। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে। বেআইনিভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্ট করে চাকরি পাওয়াদের হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই।’ এর সাথে সাথে OMR শিট দ্রুত SSC-র সার্ভারে আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, ‘যাঁরা যাঁরা বেআইনি নিয়োগের ফলে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফিরিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। 6 সপ্তাহের মধ্যে তা রিকভার করতে হবে।’ শামীম আরও বলেন, ‘গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম এবং দশম শ্রেণি, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে। DI-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে নজর রাখতে।’
এই রায়দানের লক্ষে, আজ মোট 281 পৃষ্ঠার রায় পড়েন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। এই রায়কে আবার একাধিক অংশে ভাগ করা হয়েছে।
এদিন রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনওভাবেই হাইকোর্ট চত্বরে গোলমাল না বাঁধে, তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
তবে, হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছে কমিশন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু করতে চলেছে কমিশন। এই প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “রায়ের কপি পেলেই মুভ করব। কী গ্রাউন্ডে অ্যাপিল সেটা পরে জানাব। মূল কারণ হল, এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সিবিআই তদন্ত চলেছে। 5000 নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ সিবিআইয়ের। এগুলির নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ ছিল। বাকি প্রায় 19,000-এর ব্যাপারে কী অভিযোগ? তাদের কেন চাকরি গেল? এখনও পরিষ্কার নয়। তাই রায়ের কপির জন্য অপেক্ষা করছি। স্কুলে শুন্যতা কীভাবে পূরণ হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আমি আদালতের এই রায়ে অসন্তুষ্ট। রায়ের কপি হাতে পেয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে মুভ করব। ওএমআর শিটের পুনর্মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও গাইডলাইন নেই। 350 টির বেশি মামলা। ফলে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। নতুন নিয়োগ শুরু নিয়ে বা তার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না। নিয়োগ করাই তো আমাদের কাজ। সরকার নির্দেশ দিলে প্রক্রিয়া শুরু করব। কিন্তু আদালত জানিয়েছে ফ্রেশ নিয়োগ নয়। ওএমআর পুনর্মূল্যায়ন। আমরা সিবিআইয়ের থেকে হার্ড ডিস্ক নিয়ে দেখব সেখানে কী কী পাওয়া যায়।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2016 সালের নিয়োগ প্যানেলের মধ্যে কেবলমাত্র সোমা দাস নামে একজনের চাকরি বাতিল করেনি হাইকোর্ট। সোমাকে মানবতার খাতিরে চাকরি দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে, তাই কেবল তার চাকরিই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট।
বিঃদ্রঃ চাকরি এবং নতুন কোনো নিয়োগের আপডেট, কর্মসংস্থান আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন।
🔥 হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ: Join Now
🔥 আরো চাকরির আপডেট 👇👇
👉 মাধ্যমিক পাশে ভারতীয় পোস্ট অফিসে গ্রুপ-সি চাকরি, ১৯ হাজার ৯০০ টাকা মাসিক বেতন
👉 জেলা আদালতে গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ, অষ্টম শ্রেণী পাশে চাকরি
👉 WBPSC এর তরফে AFO পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, ১৩ মে অবধি আবেদন চলবে
👉 ১৩৭৭ শূন্যপদে NVS এ নন-টিচিং স্টাফ পদে চাকরি, ১৮ হাজার টাকা মাসিক বেতন
👉 Summer Vacation 2024: রাজ্যের স্কুলে গরমের ছুটি কবে থেকে?